পরকীয়া প্রেমিক দিয়ে ইয়াবা সরবরাহঃ ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ৩০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট- পরকীয়ার কারণে সংসার ভেঙে যাওয়ার পর মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন গার্মেন্টসকর্মী লিমা আক্তার (২৫)। পরে পরকীয়া প্রেমিকের সরবরাহ করা ইয়াবা বিক্রি শুরু করেন গার্মেন্টস কর্মীদের কাছে।

এভাবে ইয়াবা বিক্রি করে আসছিলেন লিমা আক্তার ও তার প্রেমিক সালেক (২৮)। স্বামী-স্ত্রী সেজে ঢাকাগামী বাসে ইয়াবা নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তারা। এ সময় পুলিশ লিমা আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার করেন তিন হাজার পিস ইয়াবা।

রোববার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা এলাকা থেকে পুলিশ তাদেরকে আটক করে।

মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, দিনাজপুর থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে পাশাপাশি সিটে বসে তারা ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করা হয়ছে বলেও জানান পুলিশের কর্মকর্তা।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লিমা আকতার জানায়, গাজীপুরের জয়দেবপুরে একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন তিনি। স্বামী বাস চালক উকিল মিয়া আর চার বছরের সন্তান তামিমকে নিয়ে ভালই চলছিল তাদের সংসার। এরই মাঝে মোবাইল ফোনে গান তুলতে গিয়ে পরিচয় হয় দোকানী সালেকের সাথে।

সালেকের বাড়ি নওগাঁ জেলার সাপাহারে হলেও সে জয়দেবপুরে দোকান ভাড়া নিয়ে মোবাইল ফোনে গান লোডের ব্যবসা করতো। গান লোড করতে গিয়ে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এক পর্যায়ে স্বামী উকিল মিয়া স্ত্রীর পরকীয়া জানতে পারে। পরকীয়া থেকে স্ত্রীকে সরাতে না পেরে স্ত্রীকে ফেলে রেখে সন্তান নিয়ে অন্যত্র চলে যায় উকিল মিয়া। এক সময় সালেকের প্রলোভনে লিমা জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা ব্যবসায়। সালেক ইয়াবা নিয়ে এসে লিমাকে দিয়ে গার্মেন্টস কর্মীদের মাঝে বিক্রি শুরু করে।

এভাবে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হলে ইয়াবা সরবরাহের পরিমাণও বাড়িয়ে দেয়া হয়। একপর্যায় তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে পাশাপাশি সিটে বসে ইয়াবা নিয়ে বাসযোগে জয়দেবপুরে যেত। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে ইয়াবা বহন করা হতো লিমা আকতারের ভ্যানিটি ব্যাগে।

মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিজানুর রহমান আরো জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হানিফ পরিবহনের বাসটি থামিয়ে পাশাপাশি সিটে বসে থাকা লিমা ও সালেককে আটক করা হয়। পরে লিমার ভ্যানিটি ব্যাগ তল্লাশি করে ১৫  প্যাকেটে তিন হাজার পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।