কণ্ঠ কারসাজি করে প্রতারণা

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী সেজে মন্ত্রীকে ফোন দিতেন কক্সবাজারের কবির

বিশেষ প্রতিবেদক •

কক্সবাজারের গিয়াস উদ্দিন কবির কুমিল্লায় ব্যাটারি তৈরির একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। কিন্তু তিনি কখনও হয়ে যান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া! ফোন করেন মন্ত্রীকে, ডিসি-এসপিকে। নানা কারণ দেখিয়ে টাকাও দাবি করেছেন।

এই প্রতারণায় নিজের কণ্ঠকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর মতো হুবহু নকল করে ফেলেন কবির। ফোনে-হোয়াটসঅ্যাপে এভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জানায়, প্রতারক কবির প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচয় ধারণ করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী, বিভিন্ন জেলা প্রশাসক ও পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে টাকা দাবি করেছেন।

তিনি কুমিল্লার একজন আইনজীবীর কাছ থেকে একই পরিচয়ে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তিকে চাকরি বা ভালো জায়গায় পোস্টিং করে দেওয়ার কথা বলেও টাকা দাবি করতেন।

প্রতারণার শিকার আইনজীবী রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শুরু করেন সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ইন্টারনেট রেফারেল টিমের সদস্যরা। এরপর শনিবার গভীর রাতে কুমিল্লা থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রতারক গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা গ্রামের কবির মেম্বারের ছেলে।

সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ইন্টারনেট রেফারেল টিমের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল ইসলাম সমকালকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর মতো করে নিজের কণ্ঠ নকল করতেন কবির। হোয়াটসঅ্যাপের বিদেশি নম্বর থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ফোন দিয়ে টাকা দাবি করে আসছিলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, রোববার তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কার কাছ থেকে কত টাকা হাতিয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করা হবে।