প্রেমের জন্য যারা জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছেন তাদের সবাই ‘পুরুষ’

পৃথিবীতে প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে অনেক গল্প আছে, এর অধিকাংশই সত্য কাহিনী অবলম্বনে…। রোমিও-জুলিয়েটের, ‘রোমিও’ প্রেমের জন্য জীবন দিয়েছেন। টাইটানিকের ‘জ্যাক’ তার প্রেমিকাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। গ্রিক হিরো ‘হারকিউলিস’ও মারা গেছেন প্রেমের জন্য! ‘মজনু’ তার জীবনটা যখন ধ্বংস করে লাইলীর জন্য, লাইলী তখন পালকি চড়িয়া শ্বশুর বাড়ি যায়। মরার সময় এসে গান গায়, ‘লাইলি তোমার এসেছে ফিরিয়া মজনুগো আখি খোলো’। কিন্তু মরা মানুষটার আখি আর কোনোদিন খোলেননি। অভাগা ‘দেবদাস’ আর মহাসুখে বসবাস করা জমিদার বধূ পার্বতীর কথা আমরা সবাই জানি। শুধু মরার পর আইসা দেবু দা (!) বলিয়া একবার বুকের ওপর ঝাঁপাইয়া পড়িয়াছিলো। সান্ত¡না এইটুকুই! আর ব্যাটা ‘চন্ডিদাস’ তো রজকিনীর অপেক্ষায় ১২ বছর বড়শি নিয়া পুকুর পাড়ে বইসা থাইকাই জীবন শেষ করে দিলো। আর যার আত্মত্যাগের জন্য আমরা ঘটা করে ‘ভ্যালেনটাইন দিবস পালন করি ওই ‘ভ্যালেনটাইন’ও একজন পুরুষ। অর্থাৎ প্রেমের জন্য যারা জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছেন ওই মহান ব্যক্তিরা সবাই-ই কিন্তু ‘পুরুষ’। নারীদের ত্যাগ কোথায়? হে বোকা (পুরুষ) সম্প্রদায় এখনো সময় আছে তোমরা সাবধান হয়ে যাও। এপিক : ইহা রাজনীতি বর্জিত ‘সচেতনতা’মূলক একটি স্ট্যাটাস। পুরুষতন্ত্রের কোনো গন্ধ নাই, নারীবাদীরা মনে কষ্ট নিয়েন না। ফেসবুক থেকে