প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীকে ব্ল্যাকমেইল : কক্সবাজারে র‍্যাবের হাতে ধরা পড়লো প্রতারক

নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া :

প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রায় অর্ধশতাধিক তরুণীর অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন জহিরুল ইসলাম (৩২)।

পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে সর্বস্ব হাতিয়ে নেন জহির।

এক ভুক্তভোগীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জহির ও তাঁর সহযোগী মো. সরওয়ার (২৪) কে আটক করে র‍্যাব-৭।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার চৌমুহনী স্টেশন থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

জহির উদ্দিন পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের রব্বত আলী পাড়ার আমিনুল হকের ছেলে ও মো. সরওয়ার একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিয়া পাড়া এলাকার মো. শওকতের ছেলে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক মো. রেজওয়ানুর রহমান।

র‍্যাব জানায়, ভুক্তভোগী পেকুয়ার একটি এনজিওতে চাকুরী করতেন। আসামী মো. জহিরুল ইসলামের সাথে তাঁর পরিচয় হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে।

জহির নিজেকে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার ও অবিবাহিত বলে পরিচয় দেন। এরমধ্যে তাঁদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

সে সুযোগে জহির ওই মেয়ের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে।

পরে জহির ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে।

অন্যথায় অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

র‍্যাব আরও জানায়, জহির ভুক্তভোগীর অন্য একজন নারী সহকর্মীর সাথেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলো এবং তাঁর ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল।

পরে ওই নারী সামাজিকভাবে সম্মানহানীর ভয়ে আত্মহত্যার চেষ্ঠাও করেছিল।

আটক আসামীদের ব্যক্তিগত মোবাইল তল্লাশী করে অসংখ্য ভুক্তভোগীদের ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবি ও ভিডিওচিত্র পাওয়া যায় বলে জানায় র‍্যাব-৭।

আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পেকুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।