টেকনাফে মায়ের মৃতদেহ রেখে কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষা দিলো দুই মেয়ে!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •


টেকনাফ সাবরাং উচ্চবিদ্যালয় দুই বোন এসএসসি পরিক্ষার্থী। নিয়তির কি নির্মম পরিহাস আজ ২ মে তাদের মা জননী তাদেরকে ছেড়ে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে গেছে না ফেরার দেশে।

মায়ের মৃতদেহ বাড়িতে রেখে দুই বোন সঠিক সময়ে এসএসসি পরীক্ষা দিতে টেকনাফ এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করেছে।

দুই শিক্ষার্থী হচ্ছে, সাদিয়া ফেরদৌস ও শারমিন আক্তার। তারা দুই জন টেকনাফের সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

২মে (মঙ্গলবার) বাংলা ২য় পত্রের পরীক্ষার দিন ঘটে যায় হৃদয় বিদারক এ ঘটনাটি।

সূত্রে আরো জানা যায়, সাবরাং ইউনিয়নের পানছড়ি পাড়া এলাকার জহির আহমদ’র কন্যা।

তাদের চাচাতো ভাই রবিউল জানান, তার বড় আম্মু রমজান মাস থেকে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে (মঙ্গলবার) ভোর সাড়ে ৩টায় মৃত্যু কোলে ঢলে পড়েন। মরহুমা ৭০ বছর বয়সী।

দুই শিক্ষার্থীর পিতা জহির আহমদ বলেন, যেখানে একদিন আগেও মেয়েরা উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। হঠাৎ মানসিক ভাবে এত বড় ধাক্কায় কিভাবে পরীক্ষা দিবে একমাত্র আল্লাহ ভালো জানেন।

এদিকে মায়ের মৃতদেহ বাড়িতে রেখে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পরিক্ষার হলে যান সাদিয়া ও শারমিন। তারা কাঁদতে কাঁদতে এবং বুকচাপা কষ্ট নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

হলে দায়িত্বরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন দুই বোন পরিক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চোঁখের পানি ঝরছিল। আমার তাদের দুই জনকে শান্তনা দিয়ে আজকের পরিক্ষা সম্পন্ন করতে পেরেছি।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুই পরীক্ষার্থীর মায়ের মৃত্যু সত্যি বেদনার। তাদেরকে মানসিকভাবে সহযোগিতা প্রদানে ইতোমধ্যে কেন্দ্র সচিবকে অবহিত করা হয়েছে।