ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি •

কক্সবাজার উপকূলে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা/মোচা’ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন এর উদ্যোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির পূর্ব প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসনের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব জসিম উদ্দিন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।

সভায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, স্বেচ্ছাসেবক ও মেডিকেল টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এছাড়াও ১২ মে’র মধ্যে চাষীরা যাতে মাঠ থেকে পাকা ধান ও লবণ ঘরে তোলে, সে বিষয়ে কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বিসিক, কক্সবাজার-কে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এসময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণাবর্তের রূপ নিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে রবিবার থেকেই শক্তি বাড়াতে শুরু করেছিল মোখা। গভীর নিম্নচাপ থেকে শক্তি সংঞ্চয় করে ধীরে ধীরে শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে।

এ কারণে মঙ্গলবার বিকালে মোকা রূপ নেবে ঘূর্ণিঝড়ের৷ আর তারপর বৃহস্পতিবার সকালে এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এবং বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে মধ্য বঙ্গোপসাগরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ভয়ঙ্কর রূপ নেবে।

ঘূর্ণিঝড় মোকা আগামী ১৪ই মে দুপুরে কক্সবাজার উপকূল এবং মায়ানমারের কিয়াপ্পু-এর মাঝে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই এটি আছড়ে পড়বে স্থলভাগে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে । বর্তমানে নিম্নচাপ এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। সে কারণে সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।