হলদিয়াপালং বিট কর্মকর্তার অবৈধ ইনকামের হাতিয়ার হেডম্যান লাবু

ডেস্ক রিপোর্ট •

উখিয়া বন রেঞ্জের হলদিয়া পালং বনবিট কর্মকর্তা ছৈয়দ আলমের নিরব চাঁদাবাজীতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে স্থানীয় সচেতন মহল ও পরিবেশবাদীরা।

সরজমিন হলদিয়া পালং বনবিটের ঘাটিপাড়া, আবছার বাপের পাড়া, মধু ঘোনা, বড়বিল এলাকা ঘুরে ও বেশ কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হলদিয়া পালং বিট কর্মকর্তা ছৈয়দ আলমের দুধের গাভী হেডম্যান লাবুসহ বনকর্মীরা ঘাটিপাড়া, মধু ঘোনা, আবছার বাপের পাড়া, উত্তর ছদ্দার পাড়া এলাকার চিহ্নিত ভুমিদস্যু মৃত কালা মিয়ার ছেলে ছালেহ আহম্মদ, আবছার বাপের পাড়া এলাকার মোঃ আলী, বড়বিল এলাকার বাদশাহ মিয়াসহ অর্ধশতাধিক ভুমিদস্যুদের সাথে আতাঁত করে সরকারি বনভুমির পাহাড় কাটা ও অবৈধ স্থাপনা নির্মানে সহযোগিতা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ অবৈধ স্থাপনা নির্মানের টাকা হজম করতে রহস্যজনক করনে রয়েছে নিরব দর্শকের ভুমিকায়।

স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, হলদিয়া পালং বিট কর্মকর্তা ছৈয়দ আলম ও হেডম্যান লাবু পাহাড় যজ্ঞেরমতো জঘন্য অপরাধীদের সাথে আতাঁত করে সরকারি বনভুমিতে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা নির্মান, পাহাড় কাটা, অবৈধ করাতকলে সহযোগিতা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এতে ধ্বংস হচ্ছে বন পরিবেশ ও জীববৈচিত্র।

বিট কর্মকর্তা ও হেডম্যানের লাগামহীন চাদাঁবাজীতে ক্ষুব্দ স্থানীয় পরিবেশবাদী, সুশিল সমাজের লোকজন ও সচেতন মহল। শুধু তাই নয়, বন ধ্বংসের সাথে জড়িত বিট কর্মকর্তা ছৈয়দ আলমের দুধের গাভী হেডম্যান লাবু হিসাবে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। তারা আরো বলেন, হলদিয়া পালং বনবিট কর্মকর্তার বেপরোয়া চাঁদাবাজীতে সরকারি বনভুমির কোন প্রকার চিহ্ন থাকবেনা বলে তারা দাবী করেন।

স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলেন, হলদিয়া পালং বিট কর্মকর্তা ছৈয়দ আলম ও হেডম্যান লাবুর অনিয়ম, দুর্ণীতি ও অর্থ হরিলুটের বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা না হলে বন সম্পদ রক্ষা করা কখনো সম্ভব হবে না।

অবৈধ স্থাপনা নির্মানকারী ছালেহ আহম্মদ বলেন, আমি বন বিভাগকে টাকা দিয়ে স্থাপনা নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক ডাম্পার মালিক বলেন, ভাই আমরা বন বিভাগকে টাকা দিয়ে পাহাড় কেটে মাটি পাচার করি, যদি বন বিভাগকে টাকা না দিই, তাহলে পাহাড় কাটাতো দুরের কথা পাহাড়েও হাত দেওয়া যায় না।

অভিযুক্ত হেডম্যান লাবু , অবৈধ স্থাপনা নির্মান ও পাহাড় কাটার সত্যতা স্বীকার করার পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা নির্মান ও পাহাড় কাটার টাকা বিট কর্মকর্তার হাতে বুঝিয়ে দিতে হয় বলে জানান।