নাইক্ষ্যংছড়িতে ব্রীজের অভাবে দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ দুর্ভোগে

আবদুল হামিদ,নাইক্ষ্যংছড়ি :

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ও পাশের লামা উপজেলা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের হাজারো মানুষ একটি ব্রীজের অভাবে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।

ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের খুটাখালী খালের উপর কাগজিখোলা পয়েন্টের একটি ব্রিজের অভাবে অচল হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যবস্থা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রিজ না থাকায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষকদের ক্ষেতখামার, মানুষের জীবনমান উন্নয়নসহ সাংস্কৃতিক দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে এলাকাটি।

জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সর্ব উত্তরে ও লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সর্ব দক্ষিণে পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় খালটির অবস্থান।

ওই পয়েন্টে একটি ব্রিজ নির্মাণে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা পরিষদ, এল জি ইডি বান্দরবানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা মো. মনসুর আলম বলেন, মাত্র একটি ব্রীজ পাল্টে দিতেপারে দু” ইউনিয়নের চিত্র।

স্থানীয় বাসিন্দা ও চট্টগ্রাম জজ আদালতের আইনজীবী মো. ইব্রাহীম জানান , বাইশারী ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন এলাকায় দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাদ্রাসা, একটি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাজার একর রাবার বাগান ছাড়াও ফলদ, বনজ এবং আবাদি জমি রয়েছে প্রচুর।রয়েছে জনসাধারণের নিরাপত্তা জন্য একটি পুলিশ ফাঁড়ি, মসজিদ, মক্তব ও বৌদ্ধবিহার।

কিন্তু খুটাখালী খালের কাগজিখোলা পয়েন্টের ওপর নেই একটি ব্রিজ। শুষ্ক মৌসুমে কোনমতে এপার-ওপার যাতায়াত করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে মোটেও সম্ভব হয় না।

এতে বাইশারী ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই ব্রীজটি নির্মান খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও নদী পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হয় স্থানীয়রা।

নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম জানান , কাগজিখোলা পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হলে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সহজে কাগজিখোলা বাজারে মালামাল আনা-নেয়া সম্ভব হবে।

পাশাপাশি লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে।

এই প্রতিবেদক সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে স্কুল, মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা বর্ষাকালে সহজে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারবে।

কৃষকের কৃষিপণ্য শাক-সবজি, রবিশস্য, রাবার বাগানের উৎপাদিত রাবার সামগ্রী, গাড়িতে আনা-নেয়াসহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে গ্রামের মানুষ।

অন্যদিকে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি জন্য পুলিশ তাদের কাজের পরিধি বাড়াতে পারবে।কাগজিখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বোরহান উদ্দিন জানান, ব্রিজটি নির্মাণ হলে মানুষের সেবা ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

এবিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী( এল,জিইডি) মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, আমি নিজেই উক্ত জায়গাটি পরিদর্শন করেছি। ব্রীজটি খুবই জরুরী।

এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।আশা করি আগামীতে হয়ে যাবে।

আরও খবর