টানা বৃষ্টিতে জীবনযাত্রা ব্যাহত,পাহাড় ধসের শংকা


সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল 
ঘুর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। পাশাপাশি পাহাড় ধসের শংকা রয়েছে কক্সবাজারবাসী।

টানা বৃষ্টির কারণে জনশূণ্য হয়ে পড়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও। প্রতিদিনের মতো তেমন মানুষের চাপ নেই পর্যটন স্পটগুলোতেও। চোখে পড়েনি তেমন যানজটও। এমন অবস্থা বিদ্যমান থাকলে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে প্রতিটি ঘরে ঘরে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তারমধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ৩৫ মিলিমিটার।

কিন্তু বৃষ্টিপাত আরও দুইদিন থাকবে। এদিকে টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের শংকায় কক্সবাজারের বিভিন্ন পাহাড়ে বসবাসরত মানুষকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন।

অন্যদিকে পর্যটক না আসায় বিপাকে পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, যদি বৃষ্টি এভাবে চলতে থাকে তাহলে ব্যবসায় বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।

জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ থেকে ঘুর্ণিঝড় তিতলি সৃষ্টি হয়। এই তিতলি’র আঘাত হানার শংকায় ছিল কক্সবাজারবাসী। সেই তিতলি ভারতের দুটি রাজ্যে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে বৃষ্টি এখনো থামেনি। বিশেষ করে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা তিনদিন বৃষ্টিতে থমকে পড়েছে মানুষের জনজীবন।

হোটেল ব্যবসায়ী মো. ইসলাম বলেন, গত তিনদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে আমাদের হোটেল এর একটা রুমও বুক হয়নি। এতে খুবই দুশ্চিন্তায় আছি।
কলাতলীর ব্যবসায়ী মো. আবু ইউসূফ বলেন, আমার হোটেল এর একটা রুম বুকিং দেয়া হয়েছিলো। বৃষ্টি কারণে সেটাও বাতিল হয়ে গেছে। এভাবে বৃষ্টি থাকলে মাথায় হাত দেয়া ছাড়া বিকল্প কোন কিছু নেই।

কক্সবাজার সদর উপজেলা (ইউএনও) হাবিবুল হাসান জানান, টানা বর্ষণের কারণে পাহাড়ে বসবাসরতদের সরে যেতে বলা হচ্ছে। সরে যেতে না চাইলে তাকে জোর করে হলেও নিরাপদে আনা হবে। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।