অবৈধ পথে আয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা

টেকনাফে ২৭ জনপ্রতিনিধি ইয়াবা কারবারে জড়িত, গডফাদার ৭৩

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥

ফাইল ছবি

টেকনাফে উপজেলা পরিষদ-পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ৯৪ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ২৭জন ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার গোপন প্রতিবেদনেও ওসব চেয়ারম্যান-মেম্বারের নাম উঠে এসেছে। এদের মধ্যে একাধিক মেম্বার আত্মসমর্পণ করতে পুলিশের হেফাজতে চলে গেছে। বাকি জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ঘুরছে প্রকাশ্যে।

জানা যায়, গত বছর মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের যুদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা থমকে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় আগের তুলনায় মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান আসা কমে গেছে। শীর্ষ গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে পার পেয়ে যাওয়ার কৌশলে ব্যস্ত থাকলেও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ বলছেন, মাদক ব্যবসায়ীদের কোন ধরনের সহানুভূতি নেই। পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, মাদক কারবারিরা আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান অপরাধী। তাদের জন্য আপাতত একটি পথ খোলা আছে, তা হচ্ছে তারা যেন আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। হয়ত আত্মসমর্পণ নতুবা আইন প্রয়োগ।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, টেকনাফে ছয়টি ইউনিয়ন, এক উপজেলা পরিষদ ও একটি পৌরসভা রয়েছে। এতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন ৯৪ জন। তাদের মধ্যে ২৭ প্রতিনিধির আয়ের উৎসের সঙ্গে অর্জিত সম্পদের কোন ধরনের মিল নেই। গত কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকা ও অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন তারা। মাদক কারবারিদের মধ্যে একজন মহিলা কাউন্সিলর ও এক সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার জড়িত।

/জনকণ্ঠ