(৭ কোটি,৫০ লক্ষ টাকার ইয়াবা উদ্ধার)

এখনো আসছে মিয়ানমারের উৎপাদিত ইয়াবা!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ

টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে এখনো প্রবেশ মিয়ানমারের উৎপাদিত ইয়াবা। অথচ এই মাদক পাচার প্রতিরোধে অত্র উপজেলায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর চলমান যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। তথ্য সুত্রে দেখা যায় গত ৩ মাসের মধ্যে মাদক কারবারীদের মধ্যে গোলাগুলি ও কথিত বন্দুক যুদ্ধে মাদক কারবারে জড়িত ৪৫ জন ব্যাক্তি নিহত হয়েছে।

পাশাপাশি মাদক পাচারে অভিযুক্ত হয়ে প্রায় দেড় শতাধিক ব্যাক্তি মাদক ব্যবসাকে ঘৃনা জানিয়ে নিজের ইচ্ছা আত্মসমর্পন করার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এত কঠোর হওয়ার পরও কেন থামছেনা ইয়াবা পাচার? টেকনাফ সীমান্তে এই ইয়াবা পাচারে এখন কারা জড়িত?

সেই সুত্র ধরে ৫ ফেব্রুয়ারী ভোর ৫টার দিকে টেকনাফে ২ বিজিবি সদস্যদের অভিযানে আবারো ২ লক্ষ,৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত কোন অপরাধীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।

বিজিবি তথ্য সুত্রে দেখা যায়, ৫ ফেব্রুয়ারী সকাল ৫ টার দিকে নাফ নদী সীমান্ত হোয়াইক্যং ঝিমংখালী জাফর প্রজেক্ট সংলগ্ন একটি লবনের মাঠ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৭ কোটি,৫০ লক্ষ টাকার মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি।

তবে এসময় কাউকে আটক করা যায়নি। বিজিবি সদস্যদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় পাচারকারী।

বিজিবি জানায়, ৫ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ঝিমংখালী জাফর প্রজেক্ট একটি লবণ মাঠ দিয়ে সন্দেহভাজন একদল লোক বস্তা মাখায় নিয়ে নয়াবাজার এলাকার দিকে গমন করতে ছিল। বিজিবি সদস্যরা তাদের থামানোর চেষ্টা করলে তারা আরো সামনের দিকে দৌড়াতে থাকে। বিজিবি সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে অবশেষে বস্তা গুলো পেলে সু-কৌশলে পালিয়ে পাচারকারী চক্র।

এরপর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে বস্তা গুলো উদ্ধার করে বস্তার ভিতরে রক্ষিত থাকা ২লক্ষ,৫০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা গুলোর আনুমানিক মুল্য ৭ কোটি,৫০লক্ষ টাকা বলে জানায় বিজিবি।

এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আছাদু-জ্জামান চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে আমাদের সদস্যরা এই ইয়াবা গুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরো বলেন মাদক পাচার প্রতিরোধ ও মাদক বিরোধী চলমান অভিযানের মধ্যে এখনো কারা ইয়াবা পাচারে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতাই নিয়ে আসতে আমাদের সদস্যদের চলমান অভিযান আরো কঠোর হবে।