সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল
শুক্র ও শনিবার সরকারী বন্ধ থাকায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের মিলনমেলায় পরিনত হয়েছে। এছাড়াও ভিড় বেড়েছে জেলার অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলোতেও। আবেগ আর উচ্ছ্বাসে ভরা দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিশে^র দীর্ঘতম এ পর্যটন নগরী। পরিবার-পরিজন নিয়ে সৈকতে ছুটাছুটি আর সাগরে নীল জলে আনন্দ গোসল করছে আনন্দ আমোদ-প্রমোদ প্রিয় মানুষগুলো। কেবল স্থানীয় পর্যটক নয়, দেশী-বিদেশি পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিশে^র দীর্ঘতম পর্যটন নগরী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
গতকাল শুক্রবার সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, লাবণী পয়েন্ট ও ডায়াবেটিক পয়েন্টসহ প্রায় সবখানে পর্যটকদের বাঁধ ভাঙা ¯্রােত। ইতোমধ্যে যারা সমুদ্রের লোনা জলের স্পর্শ পেয়েছেন তারা মেতেছেন আনন্দ উল্লাসে। সেলফি আর ল্যান্সের নানা ফ্রেমে নিজেদের বন্দি করছেন বিশাল সৈকত আর সমুদ্রের সাথে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষ কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন। তারা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে বেড়ানো ছাড়াও সাগরে গোসল করে তারা কক্সবাজার ভ্রমণের পিপাসা মেঠাচ্ছেন। যাচ্ছেন হিমছড়ি, ইনানী, ডুলাহাজার বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরে। এখানে স্থাণীয পর্যটকদের চেয়ে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা কোন অংশে কম নয়।
হোটেল মোটেলর মালিকেরা জানান, এবারে পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই তেমন কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসা খুব একটা ভাল যায়নি। তবে শেষের দিকে একটি পর্যটকের সমাগম দেখা যাচ্ছেঠ। গত মাস থেকে মোটামুটি ব্যবসা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে থেকেই অধিকাংশ হোটেলের শতভাগ কক্ষ বুকিং আছে। তবে সাগর পাড় থেকে দূরে আবাাসিক হোটেলে বুকিং তুলনামূলক কম।
সৈকতে বেড়াতে আসা এক পর্যটক দম্পতি বলেন, কক্সবাজার আমার খুব প্রিয় জায়গা। সরকারী দুই দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে আসতে পেরে খুবই আনন্দিত। এখানে খুব ভালো। সুযোগ পেলে প্রত্যেক দিনই চলে আসতাম।
হোটেল ব্যবসায়িরা বলছেন, কয়েকদিন আগে থেকেই ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজের সবগুলো রুমের অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এবার দেশীয় পর্যটকের পাশাপাশি বিপুল পরিমান বিদেশী পর্যটক এসেছেন কক্সবাজারে। তাই বেড়াতে এসে পর্যটকরা যেন কোন ধরণের হয়রানীর শিকার না হন সে বিষয়ে প্রশাসনকে আরো আন্তরিক হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, মহেশখালী আদিনাথ মন্দির, হিমছড়ি, ইনানী, দরিয়ানগর, সোনাদিয়া, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকা গুলো বিপুল পর্যটক সমাগমে নতুন প্রাণ ফিরে পায়। এছাড়াও কক্সবাজার শহরের বার্মিজ মার্কেট, রাখাইন পল¬ী, বৌদ্ধ মন্দির ও রামুর বৌদ্ধ মন্দিরেও পর্যটক আনাগোনা প্রচুর।
পর্যটকরা কক্সবাজারে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার না হন সে জন্য সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও বীচে ট্যুরিস্ট পুলিশ বেশ সক্রিয় রয়েছে বলে জানান প্রশাসন।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বী, জানান, মৌসুমজুড়েই পর্যটকদের নিরাপত্তায় কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-