প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান কক্সবাজারের ফাতেরঘোনার ৪ হাজার ভুমিহীন পরিবার

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ॥

কক্সবাজার পৌরসভার পুর্ব লাইট হাউজ ফাতেরঘোনা এলাকার ভুমিহীন পরিবারের সদস্যদের দিনদিন কাটছে উচ্ছেদ আতংকে। বিষয়টি সুনজর চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই এলাকার অন্তত ৪ হাজার ভুমিহীন পরিবার।

জানা যায়, পুর্ব লাইট হাউজ ফাতেরঘোনা এলাকায় ৪ হাজার পরিবারের ভোগ দখলীয় বসত ভিটা রয়েছে। যারা যুগেরপর যুগ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বসবাস করে আসছে।
ভুমিহীন পরিবারের সদস্যরা জানান, কক্সবাজার সমুদ্রের নিকটে পুর্ব লাইট হাউজ ফাতেরঘোনার এসব মানুষরা সমতল ভুমির স্থায়ী বাসিন্দা হন। দেশ স্বাধীনের বহু পুর্ব থেকে (যার মৌজা-ঝিলংজা, থানা ও জেলা-কক্সবাজার। বি.এস খতিয়ান নং-০১, বি.এস দাগ নং-৩২২২ (আং), ৩২৩১, ৩২২৯ (আং) ও ৩২৩৪ (আং) তফসিলের সরকারি খাস জমিতে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন। সরকারের খাজনা পরিশোধের সুবিধার্থে তারা বিভিন্ন সময়ে তফসিলোক্ত জমি বন্দোবস্তি পাওয়ার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদনও করেন। যা ইতোমধ্যে সরকারি প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

এমতাবস্থায় দুদক বিভিন্ন দপ্তরের সহায়তায় কিছুদিন পুর্বে ওই সব পরিবারের সদস্যদের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। পূর্বে কোন সর্তক বার্তা বা মাইকিং কিংবা বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়াই এই উচ্ছেদ অভিযানের ফলে এসব ভুমিহীনদের একাংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিনাতিপাত করছেন। এতেই শেষ নয়। প্রতিনিয়ত এলাকাবাসির মাঝে বিরাজ করছে উচ্ছেদ আতংক। ইতিমধ্যে ওই এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের একটি সুষ্ঠু সুরাহার জন্য আশ^স্ত করেছেন কক্সবাজার-সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি উক্ত বিষয়ে দুদকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথেও বৈঠক করেছেন বলে এলাকাবাসীকে জানান।

ফাতেরঘোনার এসব দখলদার ভুমিহীনরা বলেন, আমরা এদেশের নাগরিক। আমরা এদেশের ভোটার। এখানে শান্তিপুর্ণ বসবাস আমাদের নাগরিক অধিকার। আমাদের দেশে লাখ-লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করতে পারলে আমরা কেন পারবনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা। আমরা খাস জমিতে বসবাসরত চার হাজার দখলদার ভুমিহীনরা উচ্ছেদ কার্যক্রম হতে রক্ষা এবং উক্ত খাস জমি বন্দোবস্তী পাওয়ার জন্য আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।