আত্মসমর্পণ করছে না বদিসহ শীর্ষ ২০ ইয়াবা গডফাদার

শফিউল্লাহ শফি, যুগান্তর :

শেষ মুহূর্তে আত্মসমর্পণ করছে না তালিকাভুক্ত শীর্ষ ২০ জন ইয়াবা গডফাদার। পাশাপাশি আত্মসমর্পণের তালিকায় নেই টেকনাফ ছাড়া কোনো উপজেলার ইয়াবা কারবারিরা। সরকারের এই মহতি উদ্যোগে সাড়া দেয়নি তারা।

ফলে বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে মহেশখালী, চকরিয়া, উখিয়া ও কক্সবাজার শহর এবং সদরের ইয়াবা গডফাদার ও কারবারিরা।

এদিকে শনিবার সকাল ১০টায় টেকনাফ পাইলট স্কুল মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন পুলিশের সেফহোমে থাকা তালিকাভুক্ত ৩২ ইয়াবা গডফাদারসহ ১০১ জন শীর্ষ ইয়াবা কারবারি।

সূত্রমতে, ইতিপূর্বে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সঙ্গে ইয়াবা কারবারিদের কথিত বন্দুকযুদ্ধে ১০ ইয়াবা গডফাদার নিহত হয়। তারা হলো- টেকনাফের আকতার কামাল, একরামুল হক, শামশুল হুদা, ইমরান প্রকাশ পুতিয়া মেস্ত্রী, মো. কামাল, জিয়াউর রহমান, হাবিব উল্লাহ, মো. ইউচুফ জালাল বাহাদুর, মোস্তাক আহমদ মুছু, বার্মাইয়া শামশু। এছাড়াও নিহত হয় আরও ৪১ জন ইয়াবা কারবারি।

কিন্তু বর্তমানে সরকারের মহতি উদ্যোগে সাড়া না দিয়ে যারা অসৎ উদ্দেশ্যে এবং হরদম ইয়াবা কারবার করার জন্য আত্মগোপনে আছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তালিকাভুক্ত ইয়াবা গডফাদার হলো- সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি, ভাই কাউন্সিলর মৌলভি মুজিবুর রহমান, সারা দেশের আলোচিত ইয়াবা ডন হাজী সাইফুল করিম, জালিয়াপাড়ার জাফর আলম প্রকাশ টিটি জাফর, আনিছুর রহমান ইয়াহিয়া, টেকনাফের উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ ও তার ছেলে টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাহান মিয়া, বাহারছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মৌলভি আজিজ উদ্দিন ও তার ভাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন, উখিয়া গুয়ালিয়ার ইউপি সদস্য মোস্তাক আহমদ, টেকনাফের নুরুল হক ভুট্টো, কক্সবাজার শহরের বাসটার্মিনাল এলাকার শাহাজান আনসারী, তার ভাই কাশেম আনসারি, একই এলাকার আবুল কালাম ও তার ভাই বশির আহমদ, চকরিয়া পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেল, মহেশখালী পুটিবিলার মৌলভী জহির উদ্দীন, পৌরসভা সিকদারপাড়ার রাজাকারপুত্র মো. সালাহ উদ্দীন, রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন কোম্পানি এবং মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রম্যান ইউনুচ ভুট্টোসহ অনেকেই।

এদিকে আত্মসমর্পণে যারা আসেনি তাদের ব্যাপারে কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইন বলেন, যারা পুলিশের হেফাজতে এসেছে তারা আত্মসমর্পণের পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ভালো পথে ফেরার সুযোগ পাবে। কিন্তু যারা আসেনি তারা অবশ্যই অসৎ উদ্দেশ্যে এবং ইয়াবা কারবার করার জন্যই আসেনি। ১৬ ফেব্রুয়ারির পর তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এককথায় বলা যায়, যত দিন আমি (পুলিশ সুপার) কক্সবাজার আছি তত দিন আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে এই মরণ নেশা দমানোর জন্য। সামনে যত বড় প্রভাবশালী পড়ুক না কেন অ্যাকশন হবে উদাহরণস্বরূপ।