পুলিশ হেফাজতে তাদের কাছে ইয়াবা-অস্ত্র এলো কীভাবে

আমাদের সময় :

কক্সবাজারের টেকনাফে ১০২ ইয়াবাকারবারির আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের অনেক আগে থেকেই পুলিশি হেফাজতের জন্য আত্মসমর্পণ করেছিলেন সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদির ভাই আব্দুস শুক্কুরসহ ১০ আত্মীয়। তাদের পক্ষ থেকে করা জামিন আবেদনের শুনানি হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। শুনানিতে তাদের আইনজীবীরা আদালতে প্রশ্ন রেখেছেন, আসামিরা আত্মসমর্পণের জন্য এক মাস ধরে পুলিশি হেফাজতে ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় তাদের কাছে ইয়াবা ও অস্ত্র এলো কীভাবে?

কক্সবাজার জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জেরিন সুলতানার আদালতে এ প্রশ্ন উত্থাপন করে আসামিদের জামিন চান তাদের আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষ এ সময় জামিনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে দেন। শুনানিকালে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়নি। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উপস্থিতিতে আয়োজিত আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের মাত্র চার দিন পর বদির ১০ আত্মীয়ের করা জামিনের আবেদন নিয়ে টেকনাফে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, আত্মসমর্পণকারী ১০২ ইয়াবাকারবারি বর্তমানে কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন। আদালতে গতকাল জামিনের আবেদনকারী কারাবন্দি ১০ ইয়াবাকারবারি হলেন বদির ভাই আব্দুস শুক্কুর, আমিনুর রহমান প্রকাশ ওরফে আব্দুল আমিন, শফিকুল ইসলাম প্রকাশ শফিক, ফয়সাল রহমান, বদির ফুফাতো ভাই কামরুল হাসান রাসেল, ভাগ্নে সাহেদ রহমান নিপু, চাচাতো ভাই মো. আলম, খালাতো ভাই মং অং থেইন ওরফে মমচি, বদির ভাই আব্দুর শুক্কুরের ব্যবস্থাপক মারুফ বিন খলিল ওরফে বাবু ও মোজাম্মেল হক।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা হলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফা, অ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট মো. রফিক উদ্দিন চৌধুরী। আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ আমাদের সময়কে বলেন, আমার মক্কেলরা কেউ ২০ দিন, কেউবা এক মাস আগে থেকে পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। তাদের কীভাবে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ মেরিন ড্রাইভ থেকে গ্রেপ্তার করা হলো? আমরা জামিনের আবেদনে এসব গ্রাউন্ড উল্লেখ করেছি। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের মামলার সার্টিফায়েড কপিও দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট স্কুলমাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ মহপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে অস্ত্র ও ইয়াবা জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ১০২ ইয়াবাকারবারি। পরে ইয়াবা ও অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া পৃথক দুটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি আভাস দেন মাদক ও অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের আইনি সহায়তা দেওয়ার।