ইয়াবা কারবারিদের অজানা তথ্য পুলিশের হাতে

নুপা আলম :

কক্সবাজারে টেকনাফে ইয়াবা কারবারিদের অজানা তথ্য এখন পুলিশের কাছে রয়েছে। পুলিশ এসব তথ্য অধিকতর তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ বলছে গত শনিবার টেকনাফে আত্মসমর্পনকারি ১০২ জন ইয়াবা কারবারির দেয়া স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে এসব অজানা তথ্য।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, আত্মসমর্পন করা ১০২ জন ইয়াবা কারবারির দেয়া স্বীকারোক্তিতে নতুন করে ৫ শতাধিক ইয়াবা কারবারি শনাক্ত করা হয়েছে। যেখানে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি সহ সাংবাদিকরাও রয়েছেন। একই সঙ্গে ইয়াবা কারবারিদের কাছ থেকে নানাভাবে মাসোহারা আদায় করা পুলিশ ও সাংবাদিকদেরও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ইয়াবার অর্থ লেনদেন পরিচালনায় জড়িত ৩০ হুন্ডি ব্যবসায়ীকে শনাক্ত করা গেছে।

পুলিশ বলছে, আত্মসমর্পনকারিদের সম্পদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আত্মসমর্পনের শর্ত মতে, তাদের সম্পদের বিবরণ দুদক, সিআইডির মানি লন্ডারিং বিভাগ এবং এনবিআরকে দেয়া হচ্ছে। অবৈধ সম্পদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেছে। টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারি সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। আত্মসমর্পনকারিদের ৫৭ জনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা কারবারি রয়েছেন। আত্মসমর্পনকারি এসব ইয়াবা কারবারিদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, ১০২ জন ইয়াবা কারবারিরা তাদের স্বীকারোক্তিতে ৫ শতাধিক নতুন ব্যক্তির নাম বলেছে। যারা নানাভাবে ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। যেখানে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং সাংবাদিকদের নাম পাওয়া গেছে। এসব নাম এখন অধিকতর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

তিনি জানান, পুলিশ মাদকের নির্মূলে কোনভাবে আপোষ নয়, কঠোর। এসব নাম যাচাই বাছাই শেষে অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদের মতো তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসপি মাসুদ জানান, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পন চাননি কিছু পুলিশ এবং সাংবাদিক। তার কারণও পাওয়া গেছে ১০২ জনের স্বীকারোক্তিতে। ইয়াবা কারবাবিদের কাছ থেকে কারা কিভাবে মাসোহারা আদায় করতো তা এখন পরিষ্কার।

তিনি জানান, আত্মসমর্পনকারিদের সম্পদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আত্মসমর্পনের শর্ত মতে, তাদের সম্পদের বিবরণ দুদক, সিআইডির মানি লন্ডারিং বিভাগ এবং এনবিআরকে দেয়া হচ্ছে। অবৈধ সম্পদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হবে।