অপরাধ বাড়ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে

বিশেষ প্রতিবেদক :

প্রায় ৮ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার অস্থায়ী বসবাস উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে চলমান নৈরাজ্যকর পরিবেশ স্থানীয় আড়াই লক্ষাধিক মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপহরণ, খুন, গুম, গ্রামবাসীদের উপর হামলা, মারধর, স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের ভিটেমাটি দখল ক্যাম্পে মাদক বিক্রি ও লেনদেনসহ ইয়াবা উদ্ধার করতে গিয়ে রোহিঙ্গা নারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বাধা প্রদান করে হামলার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আশ্রিতা রোহিঙ্গাদের এমন অস্বাভাবিক আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে স’ানীয় গ্রামবাসী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন।

সরেজমিন কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প ঘুরে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গার সাথে কথা বলে জানা যায়। লম্বাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত নুরুল ইসলাম প্রকাশ ফকির আহম্মদের ছেলে দিলদার মিয়ার সৃজিত আম বাগানের মুকুলগুলো রোহিঙ্গা শিশুরা নষ্ট করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ও বাগান মালিকের সাথে তর্ক-বির্তক হয় সোমবার সকালে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত ৯টার দিকে লম্বাশিয়া ক্যাম্পের হেড মাঝি জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একদল রোহিঙ্গা তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে অস্ত্রের মুখে দিলদার মিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তার হাত পা বেঁধে নির্যাতন চালিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে তার স্বজন ও গ্রামবাসী জাহাঙ্গীরের আস্তানায় হানা দিয়ে মুমুর্ষ অবস’ায় দিলদার মিয়াকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ ওসি (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ ইয়াছিন জানান, তিনি ঘটনাস’ল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস’া নেওয়া হবে।

এদিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ ব্লকের ৫৪নম্বর সেট ও ৪৩ নম্বর সেট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সোমবার রাত ৯টা দিকে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।ে এ সময় মোহাম্মদ জিয়াবুল (৩৫) ও নুর আলম (৪৫) কে আটক করলে রোহিঙ্গা নারীরা দা-কুড়াল নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা ও আটককৃতদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনা নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী স’ানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

অনেকে বলছেন রোহিঙ্গারা অন্যায়, অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাবে আর বাধা দিলে হামলা করা হবে। এ রকম জঘন্যতম আচরণ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য গ্রামবাসী উর্ধ্বতন পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে রোহিঙ্গাদের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করার দাবি জানান।