সেলিম উদ্দীন,ঈদগাঁও
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের আবাসিক ভবন, একাডেমিক টিনসেড ভবন ঘূর্নিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কালবৈশাখীর ঝড়ে বিদ্যালয়টির দুইটি ভবন একেবারে বিধ্বস্ত হয়েছে। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত ক্লাস রুম না থাকায় ২৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে।
কিশলয় প্রধান শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে কালবৈশাখীর ঝড়ে বিদ্যালয়টির একাডেমিক ভবন ও আবাসিক ভবন একেবারে বিধ্বস্ত হয়েছে। উড়ে গেছে ভবনের টিনের চালা। ভেঙ্গে চুরমার হয়েছে টেবিল, বেঞ্চ ও আসবাবপত্র।
বিদ্যালয়ে ক্লাস রুম ভেঙে তছনছ ও ভিজে যাওয়ায় সাময়িক ভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
খবর পেয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন সরজমিন পরিদর্শন করেন।
জানা গেছে, সোমবার সকাল ৯টায় টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে স্কুলের পূর্বপাশের একাডেমিক ভবন। আবাসিক ভবনের ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছ টিনসেডের ছাউনিসহ ৩ টি কক্ষ, একাডেমিক ভবনের ৪ টি কক্ষ, ১৫টি ফ্যান, চেয়ার টেবিল বেঞ্চসহ সহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল।
সরেজমিন দেখা গেছে, স্কুলের একাডেমিক টিনসেড ভবনের ৪টি রুমের টিনের ছাউনী উড়ে একটি বিলের মধ্যে যেয়ে পড়ে।
মাত্র ৩ মিনিটের টর্নেডোর আঘাতে স্কুলটি মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের এখন খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হবে। তাছাড়া স্কুলের অবকাঠামো, আবাসিক ছাত্রদের বই বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ঠ হয়ে গেছে।
বর্তমানে আবাসিক অনাবাসিক মিলে স্কুলে প্রায় ১৮শ শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। ক্ষতিগ্রস্থ ভবন দ্রুত সংস্কার করা না হলে পাঠদান চরমভাবে ব্যহৃত হবে।
স্কুলের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তাৎক্ষনিক চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ঠ সকল দপ্তরকে অবহিত করেন প্রধান শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলাম।
তিনি ঝড়ের কবলে পড়া স্কুলটির দ্রুত ভবণ সংস্কারসহ অবকাঠামো উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-