সেই ছিনতাই চেষ্টাকারী র‌্যাবের তালিকাভুক্ত অপরাধী

ডেস্ক রিপোর্ট – ঢাকা থেকে দুবাইগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। নিজেদের সংরক্ষিত ক্রিমিনাল ডাটাবেজ অনুযায়ী র‌্যাব দাবি করছে, নিহতের নাম পলাশ আহমেদ। সে র‌্যাবের তালিকাভুক্ত অপরাধী।

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক ক্ষুদে বার্তায় তার এই পরিচয় জানিয়েছে র‌্যাব। তবে গতকাল পর্যন্ত তার নাম মাহাদী বলে জানা যাচ্ছিল। আজ ক্ষুদে বার্তায় র‌্যাব জানিয়েছে, ক্রিমিনাল ডাটাবেইজ অনুযায়ী নিহত বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারীর নাম পলাশ আহমেদ। তার আঙুলের ছাপ অনুসন্ধানে র‌্যাব ক্রিমিনাল ডাটাবেইজ থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

র‌্যাব আরও জানায়, পলাশের বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার। তার স্থায়ী ঠিকানা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে। সে বিমানের ফ্লাইটটিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। বিমানের যাত্রী তালিকা অনুযায়ী নাম উল্লেখ ছিল AHMED/MD POLASH। সে সিট নম্বর ১৭-এ তে বসেছিল। তবে সে কী ধরনের অপরাধী ছিল তা এখনও নিশ্চিত করেনি র‌্যাব।

প্রসঙ্গত, রোববার বিকেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দুবাইগামী বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি এক অস্ত্রধারী যুবক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। পরে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারী সন্দেহভাজন অস্ত্রধারীকে ধরতে কমান্ডো অভিযান পরিচালিত হয়। এরপর ছিনতাইকারীর নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে রুদ্ধশ্বাস এই অভিযান শেষ হয়। ফ্লাইটটিতে ১৩৪ জন যাত্রী ও ১৪ জন ক্রু ছিল।

কালকে পর্যন্ত জানা যাচ্ছিল ওই যুবকের নাম মাহাদী। তবে র‌্যাব আজ জানাল তার নাম পলাশ আহমেদ।

ঠিক কী কারণে ওই যুবক বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালিয়েছিল তা এখনও অস্পষ্ট। সে ক্রুদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বারবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। তবে পাইলট ও ক্রুরা সুকৌশলে বিমানটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করায়।

তবে রোববার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম মেট্রেপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবার রহমান জানান, নিহত বিমান ছিনতাইকারী মাহাদীর কাছে পাওয়া পিস্তলটি ছিল খেলনার। এ ছাড়া তার সঙ্গে আর কোনো বিস্ফোরক ছিল না।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান বলেছিলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পারি স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জের ধরে সো-কলড ছিনতাইকারী বিমানটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলতে চেয়েছিলেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। বিমানটির খবর আমরা জানতে পেরে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। পিএম অফিসেও আমরা কথা বলি। পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের কিছু নির্দেশনা দেন, সেই নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করা হয়।’