মায়ের আদেশে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন হিমু

হুমায়ুন কবির চৌধুরী হিমু ” মায়ের আদেশে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর” ব্যাপারে তার ফেসবুক একাউন্টে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যা পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল…

সম্মানিত কক্সবাজার সদর উপজেলাবাসী । সালাম ও নমস্কার । আমি হুমায়ুন কবির চৌধুরী হিমু, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা ছৈয়দুল আলম চৌধুরী ( আলম মাস্টার) এর মেজ ছেলে । আমার বড় ভাই মরহুম আলমগীর চৌধুরী হিরু, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ছাত্রলীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১৯৯০ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্ধিতা করে, তৎকালীন জেলার বড় বড় নেতাদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন কক্সবাজার সদরের সাধারন মানুষের ভালবাসার ভোটে । এরপর আমাদের পরিবারের উপর নির্যাতনের অনেক ধাপ বয়ে গেল । আমরা তিন ভাই, অনেক মামলার আসামী হলাম , কারাভোগ করলাম । এসব থেকে আমার বাবাও তখন রেহাই পাইনি । পরবর্তীতে আমার ছোট ভাই ৮ বছর কারাগারে কাটাতে হলো ।

আবার ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে আলমগীর চৌধুরী হিরু আবার সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছিলো, আপনাদের ভালবাসায়, অর্থে, দোয়ায় আবার বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলো । পরবর্তীতে ঘটনার পরিক্রমায় আমার ছোট ভাই বাবরকে অমানুষিক নির্যাতন করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। যা আমার বড়ভাই আলমগীর চৌধুরী হিরুকে অনেক আঘাত করেছিলো । আর এ আঘাত সহ্য করতে না পেরে, ঠিক এক বছরের মাথায় তিনিও মৃত্যুবরণ করেন।

তারপর আমি একা হয়ে গেলাম। গেল নির্বাচনে আমি সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্ধিতা করেছিলাম । আপনারা আমাকেও আদরে বুকে টেনেও নিয়েছিলেন। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ । বিজয়ী লাভ না করলেও আপনাদের ভোটে অনেকদুর এগিয়ে গিয়েছিলাম আমি। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আপনাদের দোয়া আর আমার পরিবারের প্রতি ভালবাসা দেখে, আবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবো ।

কিন্তু এ পৃথিবীতে আমার শ্রেষ্ট সম্পদ আমার মা, আমাকে নির্বাচন না করার জন্য আদেশ করলেন। তাই আমি মায়ের আদেশে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়ে আপনাদের কাছে কড়াজোরে ক্ষমা চাইলাম, সদর উপজেলাবাসী । আমাকে ক্ষমা করবেন । আমাদের পরিবার আজীবন সদর উপজেলাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো । আর যারা উপজেলা নির্বাচনে,ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতেছেন, সবার জন্য অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো। ভাল থেকো সদর উপজেলাবাসী ।