মুখোমুখি পাক-ভারত: জরুরি বৈঠকে ইমরান খান

ডেস্ক রিপোর্ট – পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জবাবে সীমান্ত রেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর আকস্মিক হামলার পর জরুরি বৈঠক তলব করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন তিনি।

এর আগে সকালের দিকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হামলার পর সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য জরুরি বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে পাকিস্তানের সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূতরা অংশ নেন।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৩টার দিকে ভারতীয় বিমান বাহিনী পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ২১ মিনিটের বিমান হামলা পরিচালনা করে। হামলায় কাশ্মীরের চকোটি ও মুজাফ্ফারাবাদ, বালাকোটে জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদের তিনটি লঞ্চপ্যাড ও কন্ট্রোল রুম আলফা-৩ ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় বিমানবাহিনী।

এছাড়া হামলায় অন্তত ২০০ থেকে ৩০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। যুদ্ধবিমান মিরাজ-২০০০-সহ অন্যান্য জঙ্গিবিমান থেকে কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অন্তত এক হাজার কেজি ওজনের বোমা ফেলা হয়েছে।

পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) বলছে, সীমান্ত রেখা লঙ্ঘন করেছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর জঙ্গিবিমান। তবে তাৎক্ষণিকভাবে জোরালো জবাব দেয়ায় পালিয়ে গেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী আকাশ সীমা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর।

pakistan

এক টুইট বার্তায় গফুর বলেছেন, মুজাফফরাবাদ সেক্টর থেকে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশ করেছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমান। বালাকোট সেক্টরে বোমা ফেলেছে। তবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন তিনি।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, দেশের মানুষের দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই। আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সফল লড়াই করেছি। আমরা শান্তিকামী জাতি এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সচেতন রয়েছি।

২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সীমান্ত পেরিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ওই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর এবার নতুন করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিমান চালানো হয়েছে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় ভারতের সিআরপিএফের কমপক্ষে ৪০ সেনা নিহত হয়েছেন। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ। এরপর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

View image on Twitter
View image on Twitter
View image on Twitter
View image on Twitter

Maj Gen Asif Ghafoor@OfficialDGISPR

Payload of hastily escaping Indian aircrafts fell in open.15.8K9:11 AM – Feb 26, 201912.5K people are talking about this