কুতুবদিয়া পাড়ায় চাঞ্চল্যকর শিশু নির্যাতন মামলার প্রধান আসামী মো. হোসন আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার পৌরসভার কুতুবদিয়া পাড়ায় চাঞ্চল্যকর শিশু নির্যাতন মামলার আসামী মো. হোসেন প্রকাশ (মাছনবৈদ্য), পিতা আবুল কাসেম পূর্ব কুতুবদিয়া পাড়া আটক করেছে কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ। ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। মো. হোসেন প্রকাশ (মাছনবৈদ্য) কে প্রধান আসামী করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারী রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১০৩/ ২২৩ জানা যায় কক্সবাজার পৌরসভার কুতুবদিয়া পাড়ায় সাদিয়া সুলতানা নুরী (৯) নামের শিশু বেধড়ক পিটিয়ে গুরতর আহত করে হোসেন বৈদ্য ও তার সহযোগীরা। বেপরোয়া মারধর করে থেতলে দেয়া হয়েছে সারা শরীর।

২২ফেব্রুয়ারী শুক্রবার দুপুরে নির্মম ঘটনাটি ঘটে।ভিকটিম শিশুটি মানবাধিকারকর্মী রোজিনা আক্তারের মেয়ে এবং কক্স মাল্টিমিডিয়া স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী। ওই দিন গুরতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রোজিনা আক্তারের অভিযোগ, তার মামলার আসামী সাজেদা বেগম ও তার সহযোগীরা মেয়ে সাদিয়া সুলতানা নুরীকে বেঁধে রেখে দিনভর ব্যাপক মারধর করে। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। তাদের বাড়িতে খুঁজতে গিয়ে না পেয়ে মূলত মেয়ের উপর এভাবে নির্যাতন চালায়। পরে স্থানীয়দের সহাযোগিতায় সাদিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।

ভিকটিম সাদিয়ার পিতা ইলিয়াসের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাজেদা বেগম, মোঃ হোসন বৈদ্য, রফিকসহ তাদের সহযোগীরা বেঁধে ব্যাপক নির্যাতন চালায়। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কোনরকম প্রাণে বেঁচে যায়।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে সাদিয়ার মা রোজিনা আক্তারকে জানে মারতে তার বাড়িতে আক্রমন করে। সর্বশেষ গত ১৭ ফেব্রুয়ারী পূর্ব কুতুবদিয়াপাড়ায় রোজিনাকে ফের আক্রমন করে। পরবর্তীতে সাজেদা বেগম, হোসন বৈদ্য, ইয়াবা রফিক সহ তাদের সহযোগিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের হয়। যার মামলা নং ৭৮/১৯৭।

এদিকে সাদিয়া সুলতানা নুরী পিতা ইলিয়াস জানান আমার মেয়েকে যে ভাবে মেরে আহত করেছ তা একজন অপরাধী ছাড়া আর কেউ করতে পারেনা গ্রেফতারকৃত হোসন বৈদ্য সহ আরো যারা আসামী আছে তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি দাবি করছি। এদিকে কক্সবাজার সদর থানার (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, শিশু নির্যাতন মামলার আসামী মো. হোসেন পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মোঃ হোসেনের বিরুদ্ধে জলদস্যূ মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।