ডেস্ক রিপোর্ট : আকার বাড়ছে মন্ত্রিসভার। জানা গেছে আরো ১০ নতুন মুখ দেখা যেতে পারে মন্ত্রিসভায়। তবে তবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের ভাগ্য আপাতত খোলার সম্ভাবনা নেই বলে সূত্রগুলো জানাচ্ছে।
আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন এবং একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শেষ হওয়ার পরে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে। কেউ কেউ অবশ্য সংসদের অধিবেশন চলাকালেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের আভাস দিয়েছেন। চলতি মাসেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করার বিষয়টি সবাই নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় কারা আসছেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। এদিকে, মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপিকে বর্তমান মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ব্যাপক গুঞ্জন আছে। তাকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলেও আলোচনা হচ্ছে। এ পদে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বোন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের এমপি ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির নামও শোনা যাচ্ছে। বর্তমান মন্ত্রিসভায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কাউকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
এ বছরের ৭ জানুয়ারি গঠিত বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা ৪৭। এর মধ্যে ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী (প্রধানমন্ত্রীসহ), ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী। একমাত্র ওবায়দুল কাদের ছাড়া আওয়ামী লীগের ডাকসাইটে তারকা নেতাদের সবাই বর্তমান মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন। বাদপড়া তালিকার শীর্ষে ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের দুই সিনিয়র সদস্য আমির হোসেন আমু এবং তোফায়েল আহমেদ। বর্ষীয়ান এই দুই নেতা ১৯৯৬ সালের মন্ত্রিসভায় থাকলেও ২০০৯ সালে বাদ পড়েছিলেন। পরে অবশ্য তাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর দুই প্রভাবশালী সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও মোহাম্মদ নাসিম ১৯৯৬ সালের মন্ত্রিসভায় ছিলেন। ২০০৯ সালের মন্ত্রিসভায় না থাকলেও ২০১৪ সালের মন্ত্রিসভায় ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগের তিন মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালনের পর বর্তমান মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাননি। সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় আলোচিত এই চার নেতার মধ্যে অন্তত একজনের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে বলে দলীয় নেতাদের কেউ কেউ মনে করছেন। এই চার নেতা বর্তমানে চারটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। মন্ত্রিসভায় কতজন অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন, তা আওয়ামী লীগের কোনো নেতাই নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে এই সংখ্যা ১০-এর বেশি হবে না বলে জানা গেছে। সেখানে নতুনদেরই প্রাধান্য থাকবে।
মন্ত্রিসভায় কমপক্ষে আরও দু’জনকে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী করার সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার নাম আলোচনায় আসছে। এই নেতারা একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাননি। তবে তারা গত সংসদ নির্বাচনে সাংগঠনিক দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন।
টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন, এমন নেতাদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন দলের দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
তবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নীতিনির্ধারক নেতাদের কারও সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন অনেকেই।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-