২ বছরে ড্রাইভার থেকে ৯ গাড়ির মালিক উখিয়ার আমিন!

ডেস্ক রিপোর্ট :
নাম তার নুরুল আমিন। প্রকৃত ঠিকানা উখিয়া উপজেলার রাজা পালং ইউনিয়নের জাদিমুরা গ্রামে। বর্তমানে স্বপরিবারে জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস করেন শহরের মোহাজের পাড়াতে। সারা জীবন কেটেছে গাড়ীর (মাইক্রো) ড্রাইভার হিসাবে কিন্তু ২ বছরের মধ্যে সে এখন ৯ টি বড় মাইক্রো গাড়ীর মালিক। এছাড়া কক্সবাজার শহরে জমি কিনে করেছে নিজস্ব বাড়ি। সাথে আরো আছে অসংখ্য ব্যবসা বানিজ্য। হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া এই নুরুল আমিনকে ঘিরে রয়েছে ব্যাপক রহস্য। তবে তার সাথে সংশ্লিষ্ঠ বেশির ভাগ মানুষের দাবী ইয়াবার কল্যাণে নুরুল আমিনের আজকের ব্যাপক পরিবর্তন। গাড়ীর ড্রাইভার থাকা কালে প্রথম প্রথম রোহিঙ্গা আসার পরে এনজিওর গাড়ী চালানোর ফাঁকে ইয়াবা ব্যবসা করে তার এই উত্থান। তবে সেটা মানতে নারাজ নুরুল আমিন তার দাবী এনজিওতে গাড়ী ভাড়া দিয়ে সে টাকা আয় করেছে।
কক্সবাজার শহরের পুরাতন সায়মন রোড়ের বেশ কয়েক জন গাড়ী চালক এবং মোহাজেরপাড়াতে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এই রহস্য মানবের কথা। তাদের দাবী কয়েক বছর আগেও নুরুল আমিন মাইক্রোর ডাইভার ছিল। খুব বেশি হলে ২ বছর হবে সে গাড়ীর ড্রাইভারি ছেড়ে দিয়েছে। বর্তমানে নুরুল আমিন কোটিপতি তার নিজেরই আছে ৯ টি গাড়ী তাও সব নতুন। যেগুলোর মূল্য কম করে হলেও ৩ কোটি টাকার কম হবেনা। একজন সামান্য ড্রাইভার থেকে ২ বছরের মধ্যে কিভাবে এত বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেল এমন প্রশ্নের জবাবে সায়মন রোডের কামাল,আবছার,নাজিম সহ অনেকে বলেন, ইয়াবা ব্যবসা ছাড়া এটা কোন ভাবেই সম্ভবনা। আমরা ১৫ বছর ধরে গাড়ীর লাইনে আছি। নিয়মিত গাড়ী চালিয়ে কোনমতে সংসার চালাচ্ছি আর নুরুল আমি অল্প কিছুদিনের মধ্যে গাড়ীর লাইনের হিরু বনে গেছে। সে এখন নিজস্ব অফিস দিয়ে গাড়ী ভাড়া দেয় এবং তার প্রভাব প্রতিপতির কাছে সবাই অসহায়। তাদের দাবী কয়েক বছর আগেও নুরুল আমিন সামান্য ড্রাইভার ছিল। হঠাৎ করে এত বিত্বশালী হওয়ার পেছনে সবাই মনে করছে ইয়াবা পরিবহণ বা ব্যবসা ছাড়া এত তাড়াতাড়ি কেউ এত টাকা পয়সার মালিক হতে পারে না।
এদিকে মোহাজের পাড়ার বেশ কয়েকজন বাসিন্দার একই মত তারাও মনে করছে ইয়াবা ব্যবসা ছাড়া কোনভাবেই এত টাকার মালিক হতে পারেনা। আমরা প্রথমে জানতাম নুরুল আমিন গাড়ী চালায় কিন্তু হঠাৎ করে শুনছি তার বিপুল টাকার কথা। এটা আসলে তদন্ত করা দরকার।
আলাপ কালে কক্সবাজার পৌর এলাকার ১০ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও মোহাজের পাড়ার বাসিন্দা সালাউদ্দিন সেতু বলেন,বিষয়টি আমার কাছেও রহস্যজনক। নুরুল আমিন প্রথম এলাকায় আসার সময় কিছুই ছিলনা কিন্তু এখন নাকি তার বিপুল টাকা পয়সা। এলাকার সবাই বলছে তার বিপুল টাকার উত্থানের পেছনে কোন অবৈধ পন্থা আছে। সেটা প্রশাসনকে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তিনি।
তবে তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে জানান নুরুল আমিন তিনি বলেন আমি ড্রাইভার ছিলাম এটা সত্য, আমার কাছে বর্তমানে ৯ টি নিজস্ব গাড়ী আছে। তবে আমি এনজিওতে গাড়ী ভাড়া দিয়ে টাকা আয় করেছি কোন অবৈধ পন্থায় নয়। তবে কিভাবে কোথা থেকে এতটাকা আয় করেছে সেটার কোন প্রাথমিক হিসাব তিনি দিতে পারেননি।

/দৈনিক কক্সবাজার