উপজেলা নির্বাচন

কক্সবাজারে ঘরের আগুনে জ্বলছে আওয়ামী লীগ

শহীদুল্লাহ কায়সার :

জেলার কুতুবদিয়া এবং উখিয়া উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি রয়েছে। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগেরন মাথা ব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

বিষয়টিকে প্রথমদিকে কিছুটা হাল্কাভাবে নিলেও এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে বিদ্রোহী প্রার্থীদের অবস্থানও ততোটাই শক্তিশালী হচ্ছে। আওয়ামী লীগের বঞ্চিত নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের সমর্থনও পাচ্ছেন তাঁরা।

বর্তমানে কক্সবাজার জেলার ৫ উপজেলায় ৮ জন শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। যাঁরা দীর্ঘসময় ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। সংগঠনের কাছে মনোনয়ন দেয়ারও আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তাঁদের মধ্যে ফজলুল করিম সাঈদী চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তিনি ছাড়াও ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে টেকনাফ উপজেলায় রয়েছে আওয়ামী লীগের ২ বিদ্রোহী প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে জাফর আহমদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং নুরুল আলম উপজেলা যুবলীগের সভাপতি।

রামু উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন খোদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল। পেকুয়া উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এস.এম. গিয়াস উদ্দিন এবং উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। মহেশখালী উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরীফ বাদশা এবং উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাজেদুল করিম।

জানা গেছে, বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরাতে একাধিকবার চেষ্টা করেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। এ জন্য বেশ কয়েক দফায় তাঁদের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়। এমনকি লিখিতভাবেও তাঁদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আহবান জানানো হয়। কিন্তু এতে কর্ণপাত করেননি বিদ্রোহী প্রার্থী। নেতাদের সিদ্ধান্তের চেয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ হোছাইন ইব্রাহিম বলেন, যাঁরা সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন। নির্বাচন কমিশন বেঁধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা চেষ্টা করলেও প্রত্যাহার করাতে ব্যর্থ হন।

বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে নির্বাচনে কোন সমস্যা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ৪ বার নির্বাচিত হই। এবারো জনগণের কাছে স্বীকৃতির জন্য যাচ্ছি। তাঁরা চাইলে আমাকে ভোট দেবেন।