শাহজাহান চৌধুরী শাহীন :
কক্সবাজার সৈকতে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহলের জন্য ইউএনডিপি সংস্থা কর্তৃক উপহার হিসেবে দেয়া ৫টি বীচ বাইক বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এইসব বীচ বাইকগুলো এখন সুগন্ধা পয়েন্টে ভাড়ায় চালিত হচ্ছে। এঘটনায় পুরো শহর জুড়ে চলছে তোলপাড়।
একাধিক দায়িত্বশীল সুত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার সৈকতে লাবণী পয়েন্টে স্থাপিত সাবেক সৈকত ফাঁড়ির জন্য ২০০৮-০৯ সালে ইএনডিপি সংস্থা কর্তৃক ৫টি বীচ বাইক উপহার দেয়া হয়। সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য টহলে ব্যবহার করতো ট্যুরিস্ট পুলিশ। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরে মাস থেকে এসব বীচ বাইকগুলো সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে পর্যটকদের নিকট ভাড়া দিচ্ছে চট্টগ্রামের পদুয়া এলাকার মো. সোহেল নামের এক ব্যবসায়ী।
প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এসব বীচ বাইক ভাড়া দেয়া হচ্ছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ টহল কাজে এসব বীচ বাইক ব্যবহার না করে বিক্রি কিংবা ভাড়া দেয়ার মতো ঘটনা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সচেতন মহল।
গতকাল সোমবার দুপুরে সরেজমিনে সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, সরকারী বীচ বাইকগুলো পর্যটকদের কাছে ভাড়া দেয়া হচ্ছে। আবার বিকাল ৫টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্টের হাড়ি রেস্তোঁরার পাশেই পাকিং করে রাখা হয়েছে।
সরকারী বীচ বাইকগুলো পরিচালনায় নিয়োজিত কক্সবাজার বীচ বাইক মালিক সমিতির লিঃ এর সাধারণ সম্পাদক দাবীদার মো. সোহেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বীচ বাইকগুলো মেরামত করার পর ৫ লাখ টাকা দিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন। তবে সুগন্ধা পয়েন্টে পুলিশের নামেই বীচ বাইকগুলো চালানো হচ্ছে বলে দাবী তার।
এব্যাপারে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি ফখরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বীচ বাইকগুলো মেরামত করার জন্য সোহেল নামের একজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। বিক্রির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
এখন সচেতন মহলের প্রশ্ন ইউএনডিপি কর্তৃক ট্যুরিস্ট পুলিশকে দেয়া বীচ বাইকগুলো কিভাবে সুগন্ধা পয়েন্টে পর্যটকদের নিকট ভাড়া দেয়া হচ্ছে। এসব বীচ বাইকগুলো বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির অনুমতি না নিয়ে এখন সৈকতে ভাড়ায় চালিত হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধবতন কতৃপক্ষের নজর দেয়া দরকার বলে মনে করেন সচেতন মহল।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-