কক্সবাজার স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেল স্বামী

দীপক শর্মা দীপু :

প্রেম করে বিয়ে করার ৪ মাসের মধ্যে জীবন দিতে হল রেশমিকে। আর সেই স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেল পাষন্ড স্বামী। এমন ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। এই ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

হাসপাতালের কর্মরত জরুরি বিভাগের স্টাফ বাদল পাল জানান, ১৪ মার্চ দুপুর ১ টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে একটি মহিলার লাশ রাখা হয়।

ঘটনা কি জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম পরিচয় দিয়ে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসককে জানান, আমার স্ত্রীর গলায় গামছা লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশ হাসপাতালে রাখার পর তিনি দ্রৃত চলে যান। এরপর পুলিশকে খরব দেয়া হলে পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। দীর্ঘ দ্ইু ঘন্টা লাশটির অভিভাবক পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: শামিম রাসেল জানান, হাসপাতালে আনার আগেই রেশমির মৃত্যু হয়।

পরে খবর পেয়ে খুরুস্কুলের রোলার ডেইল পাড়া থেকে ছুটে আসেন লাশ ঘরে পড়ে থাকা রেশমির মা ছেনুয়ারা বেগম ও বোন পারভিন আক্তার মুন্নি। তারা অভিযোগ করে জানান, রেশমিকে তার স্বামী হত্যা করেছে। তাই সে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে গেছে। শ^াসরোধে হত্যার পর গলার গামছা চাপা দিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। পরে রেশমির শ^শুরবাড়ির সবাই তালা মেরে পালিয়ে যায় ।

রেশমির মা ছেনুয়ারা জানান, রেশমির সাথে উত্তর নুনিয়াছড়াস্থ মমতাজ সওদাগরের পুত্র সিরাজ দুই বছর প্রেম করে। এরপর গত ৯ নভেম্বর তারা বিয়ে করে। বিয়ের পর রেশমিকে নানা ভাবে নির্যাতন করে সিরাজ। অবশেষে সেই পাষন্ড স্বামী শহরের উত্তর নুনিয়াছড়াস্থ তার ঘরে হাত পা বেঁধে মারধর করে। পরে গলা চেপে ধরে।

এতে রেশমি মরে গেলে স্বামী বাঁচার জন্য কৌশল করে গলায় গামছা পেছিয়ে লাশ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রেশমির গর্ভে দুই মাসের সন্তান রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান রেশমির মা ছেনুয়ারা বেগম।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। মৃতদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।