নরসিংদী প্রতিনিধি – এলাকার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে বন্দুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। রায়পুরা উপজেলার দুগর্ম চর এলাকা মির্জারচরে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬ টার দিকে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বিগত মির্জারচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জাফর ইকবাল মানিক ও পরাজিত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফারুকুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ, মামলা, পাল্টা মামলা চলে আসছিল। এরই জের হিসেবে আজ মঙ্গলবার সকালে ফারুকুল ইসলামের সমর্থকরা বর্তমান চেয়ারম্যান মানিকের সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ইকবাল (২৮), আমান উল্লাহ (২৪), সাজ্জাত (২৮), আজিজুল (২৬), রহমতউল্লাহ (১৮) কে সকাল পৌনে ৯ টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ইকবাল ও আমান উল্লাহ কে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে সাজ্জাত ও আজিজুলকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অপর আহত রহমতউল্লাহ নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যরা পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে।
নিহত ইকবাল মির্জারচর ইউনিয়নের বালুচর গ্রামের আরফান মিয়ার পুত্র এবং আমান উল্লাহ মির্জারচর মধ্যপাড়ার রবি মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ হাসপতালে ভীড় জমায়। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতালের বাতাস ভারী হয়ে উঠে। এলাকাবাসীরা স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে এ জন্য দায়ী করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যুগ যুগ ধরে রায়পুরার বিভিন্ন ইউনিয়নে সংঘর্ষ হামলা-মামলা, পাল্টা মামলা চলে আসছে। স্থানীয় প্রশাসন তা নিয়ন্ত্রনে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। সংঘর্ষ দিনের পর দিন চলছে। আর হতাহতের ঘটনাও বাড়ছে। এভাবে সংঘর্ষ চলতে থাকলে আরো কত মায়ের বুক খালি হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এখন এলাকার নিরীহ জনসাধারণ।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে এমন ধারণা অভিজ্ঞ মহলের।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-