ফাইভ স্টার আর ফোর স্টার হোটেলের মাঝে আসলে পার্থক্য কী?

কোনো জায়গায় বেড়াতে গেলে সবারই ইচ্ছে থাকে প্রাণভরে উপভোগ করবেন ছুটির পুরোটা সময়। এ জন্য কেউ কেউ টাকা জমিয়ে ফাইভ স্টার হোটেলে রুম বুক করেন। একটা টু স্টার হোটেল আর একটা ফোর স্টার হোটেলে ঢুকলেই আপনি দুটোর মাঝে পার্থক্য বুঝে নিতে পারবেন। কিন্তু ফাইভ স্টার আর ফোর স্টার হোটেলের মাঝে পার্থক্যটা চট করে ধরা যায় না।

অদ্ভুত হলেও সত্যি যে, পুরো পৃথিবীতে হোটেলের মান নির্ণয়ের কোনো নির্দিষ্ট পরিমাপ নেই। এক দেশে যেটা ফাইভ স্টার, অন্য দেশে সেটা থ্রি স্টার হতেই পারে। একেকটি দেশের স্ট্যান্ডার্ডাইজড সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয় তা পাঁচ তারা নাকি আরও কম মানের।

ফোর স্টার হোটেলগুলো সাধারণত উচ্চ মানের হওয়ার পাশাপাশি কনসিয়র্জি, ভ্যালে পার্কিন, ২৪ ঘণ্টা রুম সার্ভিস—এমন কিছু সুবিধা দিয়ে থাকে। রুমগুলোতে বড় বিছানা, বেশি করে বসার জায়গা, মিনি বার, সেফ, রোব এবং ভালো কোম্পানির টয়লেট্রিজ থাকে। এ ছাড়া হোটেলের আর্কিটেকচার ভালো হয়; শিল্পকর্ম দিয়ে রুম ও লবি সাজানো থাকে; গ্রানাইট বা মার্বেল ব্যবহার করা হয়। যেসব রিসোর্টকে ফোর স্টার বলা হয় তাতে থাকে ফুল-সার্ভিস স্পা, গলফ অ্যাকসেস, টেনিস কোর্ট, চাইল্ড কেয়ার, সুইমিং পুল এবং পুলের পাশে খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা।

ফাইভ স্টার হোটেলে এর থেকেও বেশি কিছু সুবিধা থাকে। গুর্মেই ডাইনিং, লাক্সারি স্পা, ফুল সার্ভিস হেলথ ক্লাব এবং ভালো মানের লকার রুম থাকে। এসব হোটেলে সবসময়ই আপনাকে সাহায্য করার জন্য সুসজ্জিত কর্মী থাকবে, এমনকি তারা আপনাকে নাম ধরেই সম্বোধন করবেন। রুমের ডেকোরেশন থাকবে উন্নত ও আধুনিক। যেমন বিছানা থেকে পর্দা সরানোর ব্যবস্থা, বাথরুমে মার্বেল থাকবে, প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের টয়লেট্রিজ ও আসল গাছ বা ফুল থাকবে। এতে থাকবে গলফ কোর্স, টেনিস সেন্টার, পার্সোনাল ট্রেইনারসহ হেলথ ক্লাব, কালচারাল অ্যাক্টিভিটি ও বাচ্চাদের জন্য ডে ক্যাম্পের সুবিধা।

যদিও চট করে ফাইভ স্টার ও ফোর স্টারের পার্থক্য বোঝা যায় না, তবে এই দুইয়ের মাঝে খরচের পার্থক্যটা বেশ বড়। আপনি কি হোটেলেই বেশি সময় কাটাতে চান? তাহলে ফাইভ স্টার হোটেলে থাকতে পারেন। আর আপনি যদি শুধু খাওয়া ও ঘুমের সময়টা হোটেলে থাকতে চান, তাহলে ফোর স্টার এমনকি থ্রি স্টার হোটেলই আপনার জন্য যথেষ্ট।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

আরও খবর