ফেসবুক পোস্টে রিয়েক্ট, চবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ

চবি প্রতিনিধি :

ফেসবুক পোস্টে রিয়েক্ট করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। বিবাদমান গ্রুপ দুইটি হলো শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী সিএফসি ও বিজয়।

এতে বিজয়পক্ষের তিন কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তনয় কান্তি দাশ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আরবী বিভাগের জোবাইর আহামেদ ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের কাজল দাশ।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টা থেকেই শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হতে শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করতে শিক্ষার্থীরা নানা দাবি দাওয়া সম্বলিত প্লেকার্ডও প্রদর্শন করে। স্লোগানে মুখরিত পুরো চত্বর।

পরিস্থিতি যখন এমন, তার ঠিক ২০ গজ দূরে অগ্রণী ব্যাংকের সামনের সড়কে তনয় কান্তির ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সিএফসি পক্ষের কর্মীরা। এসময় তাদের হাতে লাঠি ও কাঠের টুকরা দেখা যায়।

জানা যায়, তনয় বিভাগের ফেসবুক গ্রুপে সিএফসিকে ব্যঙ্গ করে। এ জেরেই তার ওপর হামলা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিজয়পক্ষের কর্মীরা রামদা ও রড নিয়ে আবদুর রব হলের দিকে জড়ো হয়ে সিএফসি কর্মীদের ধাওয়ার চেষ্টা করে।

একপর্যায়ে সিএফসিপক্ষের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টা ধাওয়া দিলে পিছু হটে বিজয়ের কর্মীরা। পরে উভয়পক্ষ শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে সশস্ত্র অবস্থান নেয়। এসময় ফের সংঘাতে জড়ায় দু’পক্ষ। এতে কাজল দাশ ও জোবাইর আহমেদ আহত হন।

পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এদিকে সংঘাতের কারণে মানববনন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরে কাছে ৭ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে।

ছাত্রলীগের সংঘর্ষের বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিজয় পক্ষের এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজন জাগো নিউজকে বলেন, প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও সিএফসি পক্ষের পিয়াস সরকার বলেন, জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা বসে বিষয়টা সমাধান করেছি।

এদিকে প্রক্টর অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী বলেন, নিরাপদ ক্যাম্পাসের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবির স্মারকলিপি দিয়েছে। তাদের দাবির বিষয়ে আমরা আন্তরিক। এর মধ্যে বেশিরভাগ দাবিই আমরা পূরণ করেছি৷

অন্যদিকে সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

আরও খবর