ডেস্ক রিপোর্ট – পাল্টে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতর ও বাইরের চিত্র। নানা উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডের কারণে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে সেখানে। ইতিমধ্যে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কারাভ্যন্তরে ও বাইরে। এসব কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার দেশের মডেল কারাগারে পরিণত হবে, দাবি কর্তৃপক্ষের। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার কামাল হোসেন বলেন, ‘কিছু দিন ধরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সবাই। ’ কারাগার থেকে সদ্য বের হওয়া হাফিজ উদ্দীন বলেন, ‘কারাগারের অভ্যন্তরের চিত্র আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ভিতরের পরিবেশ আরও উন্নত করা গেলে বন্দীদের কষ্ট কমবে।’ জানা যায়, চট্টগ্রাম কারাগারের বন্দীদের দুর্ভোগ ও কষ্ট লাগবে সম্প্রতি কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রার্থীদের ভোগান্তি কমাতে চালু করা হয়েছে, ‘ব্যাজ সিস্টেম’।
এর মাধ্যমে বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রার্থীরা নির্ঝঞ্ঝাটভাবে প্রয়োজনীয় আলাপ সারতে পারছেন তাদের স্বজনরা। বন্দীদের জন্য বসানো হয়েছে ‘পিসি ডেক্স’। এর সাহায্যে সহজেই বন্দীদের কাছে টাকা পাঠানো যায় । এ ছাড়া বন্দীদের ক্যান্টিনও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বাইরের সঙ্গে তুলনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে খাবারের দাম। সব খাবারের মূল্য তালিকাও ঝোলানো হয়েছে কারা ক্যান্টিনে। ফলে ন্যার্য মূল্যের খাবার কিনতে পারছেন বন্দীরা। কারাগারের পানির সমস্যা সমাধানে সংস্কার করা হয়েছে পানির লাইন। নতুন করে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে আরও দুটি পানির লাইনের।
কারাগারের অভ্যন্তরে সুবিধা বাড়াতে লাগানো হচ্ছে আরও বৈদ্যুতিক পাখা, টেলিভিশন ও মোবাইল ডাস্টবিন। দর্শনার্থীদের জন্য বসানো হয়েছে ‘হেল্প ডেস্ক’। যার মাধ্যমে সহজেই বন্দীদের তথ্য খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। দর্শনার্থীদের জন্য কারাগারের ভিতরে তৈরি করা হয়েছে আধুনিক ক্যান্টিন। সেখানে ন্যায্য মূল্যে খাবার কিনতে পারছেন বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রত্যাশীরা। কারা অভ্যন্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৈরি করা হচ্ছে সীমানা প্রাচীর ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য প্রবেশ মুখে অত্যাধুনিক ফটক।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-