কক্সবাজারে নিত্যপণ্যের দাম চড়া: কষ্টে সাধারণ মানুষ

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল


কক্সবাজারে মাছ-মাংসসহ বাজারে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম চড়া। বেড়েছে ডিম, মুরগি ও সবজির দামও। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপণ্যের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে কয়েক ধরণের সবজিতে ব্যাপক দাম বেড়েছে। পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায়, রমজান আসলেই এক ধরণের অসাধু ব্যবসায়ীরা কৌশলে অতি-মুনাফার আশায় নিত্য পণ্যের দাম বাড়াতে থাকে। এদিকে আসন্ন রোজার মাসে নিত্যপন্যের দাম না বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এতে কক্সবাজারের কাঁচা বাজারেগুলোতে আস্তে আস্তে দাম বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের। অন্যদিকে ব্যবসায়িরা রমজান মাসকে ঘিরে নিত্যপন্যের দাম বাড়ানোর অপ-তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

ইতোমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে সব ধরণের নিত্যপন্যের দাম। রমজান আসতে আসতে সব পন্যের দাম বাড়তে পারে বলে জানান ব্যবসায়িরা। তবে পাইকারী ব্যবসায়িরা বলছেন, ঢাকা চট্টগ্রামের পাইকারী আড়তে দাম বাড়লে কক্সাবাজারেও দাম বাড়বে। এদিকে ব্যবসায়ীরা আরও জানান, কয়েকদিন আগে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টিতে প্রায় খেত-খামার নষ্ট হয়ে যায়। তাই বাজারে সবজির দাম হঠাৎ বেড়ে উঠেছে।

গতকাল কক্সবাজারের বেশ কয়েকটি সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপন্যের দাম চড়া। রমজান আস্তে আস্তে পণ্যের দাম আরো বাড়াতে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। চলতি সপ্তাহে প্রতিকেজি তিতকরলা ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, ঢ়েঁরশ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কইলা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, আলু দেশী ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ললিতা আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে বাজারে।

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় মুরগি ও ডিমের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা কমছে। তারপরেও দাম চড়া। প্রতিকেজি ব্রয়লার ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, প্রতিকেজি লাল কক ২৬০ থেকে ৬৫ টাকা ও দেশী মুরগি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা। অন্যদিকে গরুর মাংস হাড্ডি ছাড়া প্রতিকেজি ৭০০ টাকা, হাড্ডিসহ প্রতিকেজি সাড়ে ৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে বাজারে।

এদিকে পিটিস্কুল বাজারে সবজি ব্যবসায়ি মো. ইউনুছ বলেন,প্রতি বছর রমজানের সময় কিছু নিত্যপন্যের দাম বাড়ে। এরমধ্যে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ অন্যতম। আর সবজির মধ্যে বেগুন সহ অনেক কিছু। পন্য আনা নেওয়ার খরচ বেড়ে যায়। এছাড়া লেবার থেকে শুরু করে সব কিছুর দামও বাড়তি থাকে। অনেক কারনে আসলে পন্যের দাম বাড়ে। এখন থেকে অনেক পন্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সামনের দিনে আরও বাড়তে পারে।

কানাইয়া বাজারে মুরগি ব্যবসায়ী মো. কামাল বলেন, চাহিদা বেশি, উৎপাদন কম। তাই মুরগি ও ডিমের দাম বাড়া। তবে গত সপ্তাহেম মুরগি ও ডিমের দাম আরো বাড়তি ছিল।

কালুর দোকান এলাকার আব্দুস সালাম নামে এক ক্রেতা জানান, আসলে নিত্যপণ্যের দাম দিনদিন বাড়তে শুরু করেছে। সামনে রমজান মাস। প্রতিনিয়তেই এভাবে বাড়তে থাকলে মানুষের কষ্টের সীম থাকবে না। তাই প্রশাসনকে বাজার মনিটরিং করার জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করছি।