পৌরসভার দক্ষিণ রুমালিয়ারছরায় আবুবকর ছিদ্দিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিম ভেঙ্গে পড়ে শিক্ষিকা উম্মে হাবিবা সালমা গুরুতর আহত

মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান: আতঙ্কে ৩৫০ শিক্ষার্থী

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল

কক্সবাজার পৌরসভার (৭নং ওয়ার্ড) দক্ষিণ রুমালিয়ারছরায় আবুবকর ছিদ্দিক সরকারী প্রাথমিক বিদালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। এ নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, কোমলমতি ছোট্ট শিক্ষার্থীরা।

৬ এপ্রিল (শনিবার) বেলা ১১ টার দিকে ডি পি এড’র প্রশিক্ষণরত উম্মে হাবিবা সালমা নামে এক শিক্ষিকার মাথায় বিম ভেঙ্গে পড়লে তাঁর মাথা পেটে যায়। বর্তমানে আহত শিক্ষিকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জানা যায়- বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান চালানো হচ্ছে। এতে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম। বিদালয়ের চার রুমের ভবনটিতে অফিস কক্ষ একটি আর তিনটিতে পাঠদানের কার্যক্রম চালানো হয়। বর্তমানে বিদ্যালয় ভবনটির শ্রেণীকক্ষ, ছাদ, দেওয়াল, ফিলার ও বিভিন্ন জায়গাতে ফাটল দেখা দিচ্ছে। যেকোন মুহুর্তে ধসে পাড়া সম্ভাবনা রয়েছে।

অভিভাবকরা বলেন, ছেলে মেয়েরা স্কুলে গেলে তাঁরা সারাক্ষন আতঙ্কে থাকে। বৃষ্টি ও বাতাস হলে সন্তানদের স্কুলে পাঠান না তাঁরা। সামনে আসছে বর্ষা তাই কিভাবে সন্তানদের স্কুলে পাঠাবে তা নিয়ে চিন্তার মধ্যে রয়েছেন তাঁরা।

ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেহেনা বেগম আহতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ১৯৯৩/৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। এই বিদ্যালয়ে ৩৫০ জন নিয়মিত ছাত্র/ছাত্রী রয়েছে। আমাদেরও ভয় লাগে স্কুলে ক্লাস করতে। আতঙ্কে থাকি কখন দূর্ঘটনা ঘটে! বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়াসহ ও জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিহিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ আবু ছিদ্দিক ওসমানি বলেন, স্কুলটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। যেকোন মুহুর্তে এটি ভেঙ্গে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসব বিষয় জানিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে চিঠি দিয়েছি। ঝুঁকিপূর্ণ বলে আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে থেকেই তদবির চালিয়ে যাচ্ছি। এখনো কোনো কাজ হচ্ছেনা। সরকারী প্রতিষ্ঠান তাই অন্যত্র সরাতেও অনুমতি লাগবে। তারপরেও দেখি বর্ষা আসার আগেই অন্যত্রে পাঠদানের ব্যবস্থা করতে।