শহরের বৈদ্যঘোনায় সরকারী কর্মচারী কর্তৃক পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ

সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার জার্নাল

কক্সবাজার শহরের বৈদ্যঘোনা খাজা-মঞ্জিল আল-আমিন একাডেমীর পেছনে এক সরকারী কর্মচারীর নেতৃত্বে সরকারী পাহাড় কেটে অনুমতি বিহীন বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ করেছে স্থানীয় সচেতন মহল। অথচ পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসন সর্বদা সোচ্চার।

এ দিকে সরকারী কর্মচারী হয়ে সরকারী পাহাড় কেটে এভাবে অনুুমতি বিহীন বহুতল ভবন নির্মাণ করলেও প্রশাসনের কোন নজরে আসেনি বলে দাবী স্থানীয়দের। বর্তমানে ওইস্থানে একদিকে পাহাড় কাটছে, অন্যদিকে অনুমতি বিহীন ভবন নির্মাণ কাজ চলছেই।

স্থানয়ীরা আরও বলেন, সাধারণ মানুষ পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ করলে প্রশাসন সেখানে অভিযান চালান। একদিকে তিনি সরকারী কর্মচারী হওয়ায় পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ করলেও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।

সরেজমিন জানা যায়, কক্সবাজার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বৈদ্যঘোনা খাজা-মঞ্জিল এলাকার আল-আমিন একাডেমীর পেছনে পাহাড় কেটে পাহাড়ের ঢালুতে উঠছে অনুমতি বিহীন ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন এবং অব্যাহত আছে পাহাড় কাটা এসব নির্মাণ করছেন কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কম্পিউটার অপারেটর অর্থাৎ তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী মোহাম্মদ নেছার। তার স্থায়ী বাড়ি মহেশখালী। বর্তমানে এই ভবনের প্রথম তলার ছাদ ঢালাই শেষে দ্বিতীয় তলার ভবনের ওয়াল তৈরী করা হলেও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কারও নজরে আসেনি। কিভাবে অনুমতি বিহীন সরকারী পাহাড় কেটে অবৈধ ভবন নির্মাণ করতে পারে এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন অলি-গলিতে এভাবেই সরকারী পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।

এবিষয়ে ভবনের মালিক (সরকারী কর্মচারী) মোহাম্মদ নেছারকে পাহাড় কাটা ও অনুমতি বিহীন বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি এবিষয়ে নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন এবং প্রতিবেদকের সাথে সরাসরি স্বাক্ষাত করতে চান। কিন্তু পাহাড় কেটে অনুমতি বিহীন ভবন নির্মাণের সদুত্তর দিতে পারেন নি।

এদিকে, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুল আমিন জানান, পাহাড় কাটা বা পাহাড়ের ঢালুতে অবৈধ ঘর নির্মাণ করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস সূত্রে জানা যায়, যারা অনুমতি বিহীন সরকারী পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। এমনকি অনেক ভবনের মালিককে নোটিশও দেয়া হয়েছে।