মোঃ শাহীন, টেকনাফ •
টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা ডাকাত মাহমুদুল হাসান(৩৭) নিহত হয়েছেন। নিহত ডাকাত হল, নয়াপাড়া শরণার্থী মৌচনী ক্যাম্পের এইচ ব্লকের মৃত বাকার আহমেদ এর ছেলে মাহমুদুল হাসান (৩৭)।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ গুলি উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২ ঘটিকার সময় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাশে পাহাড়ের পাদদেশে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত মাহমুদুল হাসান শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডাকাত সর্দার জকিরের ডান হাত বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন, কনেস্টবল মিঠুন জয়, শাহীন ,হাবিব।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদে জানতে পারে, অস্ত্র মামলার পলাতক আসামী মাহমুদুল হাসান টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাশে পাহাড়ের পাদদেশে তাদের আস্তানায় অবস্থান করছেন। এমন সংবাদে কক্সবাজার (সদর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেদুয়ানের নেতৃত্বে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ, তদন্ত ওসি এবিএমএস দোহা ও নয়াপাড়া মোচনী ক্যাম্পের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের উপর গুলি বর্ষণ করে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।পরবর্তীতে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে গেলে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত ডাকাতকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে, জরুরী বিভাগের কর্মরত ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে নেওয়া হলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে নিহতের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এই ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করে মামলা রুজু করা হবে বলে জানিয়েছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-