উখিয়ায় চলন্ত গাড়িতে চালকের মৃত্যু: কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন যাত্রীরা

আবদুল্লাহ আল আজিজ,কক্সবাজার জার্নাল 

মৃত্যু কখন কিভাবে কার দরজায় এসে কড়া নাড়ে তা কেউ বলতে পারে না। সত্যিই তো কার কখন কি হয়ে যায়, কখন কোন দূর্ঘটনা ঘটে যায়, সেটা কেউ বলতে পারবে না। শুধু দূর্ঘটনাই নয়, যেকোন ঘটনাই কোন ভালো ঘটনাও হঠাত করেই হতে পারে এবং এই ঘটনার জন্যে কাউকেই দোষ দেওয়া যায় না।

হুট করে কারুর মৃত্যু, কোন দূর্ঘটনা, কোন কারুর প্রোমোশন ইত্যাদি আগে জানান দিয়ে আসে না। ধরুন আপনার অফিসে আপনার প্রমোশন হবে কোন একদিন, আপনি তো আর সেটা আগে থেকে জানবেন না, যদি না আপনাকে সব কিছু জানানো হয়।

রাস্তা পার হওয়ার সময় কোন গাড়ি এসে ধাক্কা মারবে, সেটা তো আর জানিয়ে হবে না। যদি না আপনি ইচ্ছে করে গাড়ি আসার মুহূর্তেই রাস্তা পার হন। কিন্তু মৃত্যু ? মৃত্যু কি ? ওই মুহূর্তে কি হয় ? তার পরই বা কি হয় ? এসব আমাদের অজানা, সুতরাং আমরা এরম কোন একটা ধারণা করতে পারিনা যে মৃত্যুও জানিয়েও আসে।

তেমনি এক ঘটনা ঘটেছে আজ কক্সবাজারের ব্যস্ততম নগরী উখিয়ার কোটবাজারে। প্রতিদিনের মতই তিনি আজ গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন, অর্ধশত যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে টেকনাফের উর্দ্দেশে যাচ্ছিলেন কিন্তু হঠাৎ এমন এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে সেটা কেউ কল্পনাতেও আনে নি।

এই ব্যাক্তির নাম জহির আহমদ, এক নামে সবাই জহির ড্রাইভার বলে ডাকেন। উখিয়া উপজেলার পালংখালীর বাসিন্দা উনি। কাজে বেরিয়েছিলেন অন্যান্য দিনের মতই। প্রায় ২৫ কিমি গাড়ি চালিয়ে সকাল ৯ টা নাগাদ যখন কোটবাজারে পৌঁছান তখনই তার হার্ট অ্যাটাক হয়।

যাত্রীদের নিরাপদে রেখে গাড়ি থামিয়ে স্টেয়ারিং ধরে বসে থাকতে থাকতেই হেলে পড়েন উনি। পাশেই যাত্রীরা সেটা খেয়াল করলে এমন পরিস্থিতিতে সবাই আতঙ্কিত হয়ে যান। উনার অবস্থা দেখে গাড়ির অর্ধশত যাত্রী এ অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাৎক্ষনিক উনাকে স্টেশনের লাগোয়া অরিজিন হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উনাকে চেকআপ করে মৃত ঘোষণা করেন।

কার মৃত্যু কখন হয় বলা মুশকিল, আল্লাহ্‌ যেন আমাদের সবাইকে হেফাজত করেন