একসঙ্গে মা-ভাইয়ের মৃত্যুতে নির্বাক শিশু আতিফুর

ডেস্ক রিপোর্ট •  সকালে ঘুম থেকে তুলে আতিফুর রহমানকে নাস্তা করিয়ে স্কুলের জন্য তৈরি করে দেন মা ফারজানা। এরপর বাবা অ্যাডভোকেট আতাউর রহমানের সঙ্গে স্কুলে যায় সে। কিছুক্ষণ পর ফারজানা তার বড় ছেলে আতিকুর হক সুমনকে নিয়ে স্কুলের পথে রওনা হন। কিন্তু স্কুলে পৌঁছা হয়নি তাদের।

পথে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে ধ্বসে পড়া দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান ফারজানা ও আতিকুর। স্থানীয় একটি স্কুলে ২য় শ্রেণিতে পড়ত আতিকুর।

রোববার সকালে চট্টগ্রামের পাথরঘাটার ব্রিক ফিল্ড রোডের বড়ুয়া বিল্ডিংয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার পর  আতিফুরকে স্কুল থেকে নিয়ে আসে তার বাবার এক বন্ধু। এরপর থেকে নির্বাক সে। কারো সঙ্গে কোনো কথা বলছে না। স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের নার্সারির ছাত্র সে।

অ্যাডভোকেট আতাউর রহমানের বাড়ি সাতকানিয়ার কালিহাইস এলাকায়। পরিবার নিয়ে পাথরঘাটায় ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন আতাউর।

চট্টগ্রামের পাথরঘাটা এলাকায় রোববার সকালে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে সাতজনের মৃত্যু হয়। এতে আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।

স্থানীয়রা জানান, বিস্ফোরণে একটি ভবনের সীমানাপ্রাচীর ধসে রাস্তার ওপর পড়ে পথচারীরা আহত হয়েছেন। এছাড়া ভবনের উল্টো দিকের জসীম বিল্ডিংয়ের নিচতলার দোকান বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দী সাংবাদিকদের বলেন, বড়ুয়া বিল্ডিং নামে একটি ভবনের নিচতলায় সীমানা প্রাচীরের পাশেই ওই বাড়ির গ্যাস রাইজার। বিস্ফোরণটি সেখানেই হয়েছে। হয়তো রাইজারে কোনো সমস্যা ছিল। সকালে বাসায় রান্না করার সময় অথবা কারও ফেলা সিগারেটের আগুন থেকে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, গুরুতর দগ্ধ সাতজনকে হাসপাতালে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। অন্য ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।