উখিয়ার প্রকৃতিতে শীতের আগমন

হুমায়ুন কবির জুশান,উখিয়া •


কক্সবাজার জেলার মানবতার শহর উখিয়ার প্রকৃতিতে শীতের আগমন ঘটেছে। ইতিমধ্যে রোদের তাপমাত্রা দিনের বেলায় কমতে শুরু করেছে উখিয়াতে। তাই বিকেল হওয়ার সাথে সাথেই শীতের আবাস পাওয়া যায়। সন্ধ্যা থেকে ভোর হওয়ার পরও হালকা শীত অনুভব করা যায় পুরো কক্সমবাজার জেলায়। সাধারণত সূর্রেযর দক্ষিণায়নের কারণে নভেম্বর থেকে শীত অনুভব হতে শুরু করে। তবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রয়ারি পর্রযন্ত শীতকাল বলে ধরা হয়। বাংলায় পঞ্জিকা অনুযায়ী পৌষ ও মাঘ এই দুইমাস শীতকাল।

ডাক্তার ফারহানা ঢাকা থেকে ভ্রমণে এসেছেন কক্সবাজারে। সেখান থেকে উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকতে। দেখা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে গত রাতেই ইনানীতে আসি। আজ দিনটিতে উখিয়ায় সূর্রযের আলোকচ্ছটার সঙ্গে কুয়াশা পেরে উঠেনি বেশিক্ষণ। তবে শীতকাল যে শুরু হয়ে গেছে তার ইঙ্গিত দিয়ে গেল ভোরের এই কুয়াশা। এমন একটি দিনে এখানে বেড়াতে বেশ ভাল লাগছে। উখিয়া বালুখালী ময়নাঘোনা ক্যাম্পের মাঝি জিয়াবুর রহমান বলেন, ক্যাম্পে শীত অনুভব হচ্ছে। আমরা গত বছরের পাওয়া শীতের কাপড় বের করেছি।

উখিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা তাদের পুরনো শীতের কাপড় ধোত করে রোদে শুকাতে দেখা যাচ্ছে। অনেককে আবার লিপ জেল ও শীতের প্রসাধনি কিনতে দোকানে ভিড় করতেও দেখা যায়। এদিকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষের শীতের একমাত্র অবলম্বন কাঁথা। তাই শীতের প্রকোপ থেকে বাচঁতে এসব পরিবারের নারী সদস্যরা এখন কাজের ফাঁকে তাদের পুরনো কাঁথা মেরামত করার পাশাপাশি পুরনো-নতুন কাঁথা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

আবার অনেকে চেয়ে আছেন শীতবস্ত্র পাওয়ার অপেক্ষায়। যদিও সবার ভাগ্যে তা জুটেনা। আর কৃষকরা অপেক্ষাকৃত উচুঁ জমিতে আবাদ করেছে শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। ইতিমধ্যে কৃষকদের এ শাক-সবজি হাট-বাজার গুলোতে উঠতে শুরু করেছে। শীতের শাক-সবজির দামও বেশ ভাল। তাই হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখেও। অপরদিকে দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন বেড়ে যাওয়ায় সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে।