বন্দুকযুদ্ধ সলিশন নয়:

দেশপ্রেমিক হয়ে কাজ করুন, মাদক পাচার বন্ধ হবে- লে.ফয়সল হাসান খান

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল •


মাদক পাচার প্রতিরোধ করার জন্য দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে টেকনাফ উপজেলা কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এদিকে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা মরণ নেশা ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ করার জন্য কঠোর ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে টেকনাফ ২ বিজিবির দায়িত্বরত সদস্যরা।

সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে
২৫ নভেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে টেকনাফ ২ বিজিবির আয়োজনে মাদক পাচার,সেবন রোধে জনসচেতনতা মূলক এক সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

উক্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন এই বাংলাদেশ একদিন ‘সোনার বাংলায় রুপ নেবে। তিনি সেই বক্তব্যের উর্দ্ধিতি দিয়ে বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই দেশপ্রেমিক হয়ে স্ব স্ব কর্মস্থল থেকে সততার সহিত কাজ করলে প্রিয় মাতৃভুমি বাংলাদেশ একদিন ‘সোনার বাংলায় রুপান্তরিত হবে। সে লক্ষ্য মাথায় রেখে সরকার প্রধান দেশকে উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে।

তিনি বলেন আমরা আপনারা সচেতন না হলে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ শত শত মানুষ মারা গেলেও ইয়াবা পাচার বন্ধ হবে না। ইয়াবা বন্ধ করতে হলে সবার একান্ত সহযোগিতা দরকার। পাশাপাশি যারা মাদক কারবারে জড়িত তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করে সমাজ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সাধারন জনগন দেশ প্রেমিক হয়ে সৎ মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসলে কমে আসবে মাদক পাচার।

‘মাদক পাচারে শুধু রোহিঙ্গাদের উপর দায় চাপিয়ে দিলে হবে না। প্রকৃত পক্ষে রোহিঙ্গাদেরকে মাদক কারবার করার জন্য আশ্রয়-পশ্রয় দিচ্ছে অত্র এলাকার অসাধু অর্থলোভী অপরাধীরা। তারা ভদ্রতার আড়ালে থেকে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক পাচার।

সেই সমস্ত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দিন। টেকনাফে অবস্থানরত কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প নাফনদী ও পাহাড়ের কাছাকাছি হওয়ার কারনে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবা গুলো খুব সহজে ঢুকে পড়ছে।

নাফনদীতে বিজিবির টহল আগের চেয়ে আরো বেশী জোরদার করা হয়েছে। মাদক পাচার ঠেকাতে বিজিবি নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বিজিবি।

আশা করছি স্থানীয় জনগন সহযোগীতা করলে মাদক পাচার প্রতিরোধে আমরা আরো বেশী সফলতা অর্জন করতে পারবো।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন,টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম, সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী, কোস্টগার্ড টেকনাফ ষ্টেশন কমান্ডার লে: কমান্ডার এম সোহেল রানা, টেকনাফ ২৪/২৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনর্চাজ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, টেকনাফ ২৬/২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনর্চাজ মোহাম্মদ খালিদ হোসেন, র‌্যাব-১৫ সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্প কমান্ডার লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব,টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী মো: ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, মডেল থানার পরির্দশক (অপারেশন) রকিবুল ইসলাম খান।

সভায় উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেয়, ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহাম্মদ আনোয়ারী, নূর মোহাম্মদ, নূর হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, সাংবাদিক জাবেদ ইকবাল চৌধুরী,আশেক উল্লাহ ফারুকী প্রমূখ।

সভা পরিচালনা করেন টেকনাফ ২ বিজিবি (অপারেশন) মেজর রুবায়েত কবির। এসময় স্কুল শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিরা সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।