গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑
মিয়ানমার থেকে প্রতিনিয়ত পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছে টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। তারপরও কমছেনা পেঁয়াজের মুল্য। এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি আগের তুলনায় আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
অথচ মিয়ানমার থেকে রেকর্ড পেঁয়াজ আমদানি করার পরও পেঁয়াজের বাজারে এখনো দাম কমেনি। অভিযোগ রয়েছে, ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা ভোগের আশায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো: আবছার উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে সোমবার টেকনাফ ¯’লবন্দরে এক দিনে ১১০৩শ ১৭১ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে এখনো বন্দরে এক হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাসের অপেক্ষায় ট্রলারগুলো নোঙর করে আছে বলেও জানা যায়। তাছাড়া মিয়ানমার থেকে আরো কয়েক’শ মেট্রিকটন পেঁয়াজ ভর্তি একাধিক ট্রলার স্থলবন্দরের পথে রওনা দিয়েছে বলে জানা যায়।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ গুলো টেকনাফ বন্দরে খালাস হওয়ার পর ট্রাকভর্তি করে পেঁয়াজ গুলো চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের আড়তসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে একাধিক হাত বদল হয়ে পেঁয়াজ সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে অভিযোগ রয়েছে, কোন কোন ক্ষেত্রে পেঁয়াজ গুদামজাতকরণ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে পেঁয়াজের বাজার অস্তিতিশীল করার চেষ্টা করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
পেঁয়াজ আমদানিকারকরা দাবি করেন, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম আগের চেয়ে বেশী নিচ্ছেন। তাই বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। এতে আগের তুলনায় পেঁয়াজের দাম একটু বেড়েছে। তবে পেঁয়াজের দাম কমাতে তারা নিজেরাও সর্বোচ্ছ চেষ্টা করছেন বলে জানান।
টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ব্যবস্থাপক মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন,এখনো আগের মতো মিয়ানমার থেকে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে আর সেই আমদানিকৃত পেঁয়াজ গুলো দ্রুততম সময়ে খালাসে সর্বোচ্ছ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।####
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-