নেতৃত্বে পরিবর্তনের আভাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

কালের কণ্ঠ ◑
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আজ বিকেলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এমনটা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা এমনটা জানিয়েছেন।

সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বৈঠকে নেত্রী ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রসঙ্গে কথা তোলেন। তিনি উপস্থিত নেতাদের কাছে জানতে চান, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কারো কোনো সুপারিশ আছে কিনা। কিন্তু উপস্থিত নেতাদের কেউই মুখ খোলেননি। তখন নেত্রী কিছু কথা বলেন। তিনি বলেন, মহানগরের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে কাকে বাদ দিয়ে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে সে বিষয়ে নেত্রী কিছু বলেননি। ’

বৈঠকের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেকজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বৈঠকে আমাদের সাংগঠনিক বেশ কিছু বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

আমরা কয়েকটি সমস্যার কথা নেত্রীর কাছে তুলে ধরেছি। নেত্রী আমাদের সেই সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। ’
আগামীকাল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এ দুই শাখারই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। সম্মেলন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত। স্বাগত ভাষণ দেবেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। অনুষ্ঠানে ১৩ হাজার আমন্ত্রিত অতিথি থাকছেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দিক্ষিণের নেতাকর্মীসহ ৩০ হাজার অতিথিকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে।

এ সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগের শক্তিকেন্দ্র খ্যাত ঢাকা মহানগরের দুই শাখাতেই নেতৃত্বের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলে সংগঠনের অভ্যন্তরে জোরালো আলোচনা রয়েছে। আজ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার বোর্ডে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মনোভাব জানানোর মধ্যে দিয়ে নেতৃত্বে পরিবর্তনের সম্ভাবনার বিষয়টি আরো জোরালো হলো।

স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। দেশের বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা-

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলা কাফ্রিখাল ইউনিয়নে মোঃ মাহামুদুল হাসান, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ী ইউনিয়নে মো. আসাদুজ্জামান খন্দকার।

রাজশাহী বিভাগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নে শাহ্ আল শফি আনসারী। সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা রতনকান্দি ইউনিয়নে মো.আনোয়ার হোসেন। খুলনা বিভাগে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নে মো. এরশাদ আলী সরদার।

বরিশাল বিভাগে ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নে মোস্তাফিজুর রহমান এবং আহাম্মদপুর ইউনিয়নে মো. ফখরুল ইসলাম। ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা কেওড়া ইউনিয়নে এ. কে. এম. জাকির হোসেন।

ঢাকা বিভাগে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া ইউনিয়নে মো. রুহুল আমিন। মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নে মো. মনিরুল হক মিঠু। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নে মো. নিজাম উদ্দিন। গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নে নাসরিন সুলতানা।
চট্রগ্রাম বিভাগে চট্রগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়ম নগর ইউনিয়নে মুজিবুল হক এবং স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নে নুর উল্লাহ। কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারায় (উত্তর) মো. ওবায়েদুর রহমান এবং গলিয়ারা (দক্ষিণ) মো. জামাল উদ্দিন। দেবিদ্বার উপজেলার ধামতীতে মো. মহিউদ্দীন (মিঠু)।