গিয়াস উদ্দিন ভূলু, কক্সবাজার জার্নাল ◑
অবশেষে শাহপরীর দ্বীপ বাসীর দীর্ঘ ৭ বছরের কষ্টের অবসান হচ্ছে। জানা যায়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক অনুমোদিত হওয়া টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ সড়কের সংস্কার কাজটি বাস্তবায়ন করার জন্য খুব শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। ৭ বছর আগে বঙ্গোপসাগরের পানির তোড়ে দ্বীপের বেড়িবাঁধটি ভেঙে সড়ক বিলীন হয়ে যায়। এরপর থেকে দ্বীপের ৪০ হাজার মানুষের যাতায়াতে সীমাহীন কষ্ট ও নানা প্রকার দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
তারপর ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী থেকে শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট পর্যন্ত ৫.১৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য একনেক সভায় ৬৭.৭৮ কোটি টাকার বিনিময়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। অবশেষ দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আলোর মুখ দেখতে পাচ্ছে।
সওজ সূত্রে জানা যায়,শাহ পরীরদ্বীপ এই ভাঙ্গা সড়ক সংস্কারের প্রকল্পটি দরপত্র আহবান করলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জে.কে এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পটির কাজ পায়। উক্ত প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত শিডিউল মতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। কক্সবাজার সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, হারিয়াখালী থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ভেঙ্গে যাওয়া ৫ কিলোমিটারের সড়কটি ৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে। চেষ্টা করছি সড়কের কাজটি দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করা যায়। সড়কের বাস্তবায়ন হয়ে গেলে এটি একটি দৃষ্টিনন্দন সড়ক হবে।
১লা ডিসেম্বর রোববার সকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জে,কে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার চৌধুরী ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সরেজমিনে এসে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়ে থাকা সড়কটি পরিদর্শন করেন।
এসময় প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আব্দুল জব্বার চৌধুরী জানান, সবদিক বিবেচনা করে বিশেষ করে একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে কাজটি করার চিন্তা করেছি। চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ শুরু করা হবে।
দ্বীপের বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা সোনা আলী বলেন, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে ভাঙা এই সড়ক দিয়ে দ্বীপবাসী সিমাহীন কষ্ট নিয়ে চলাচল করেছে। অবশেষে সড়কের কাজটি শুরু হতে যাচ্ছে শুনে দ্বীপের ৪০ হাজার মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে খুশি আর আনন্দ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-