ছনখোলায় সরকারি বন ও পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ হিড়িক

নিজস্ব প্রতিবেদক ◑


কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলার নয়াপাড়ার পূর্ব মাদলিয়াপাড়ায় পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ করছেন ওসমান ও আবদুস শুক্কুর নামের দুই ব্যক্তি। বনের দুই শতাধিক গাছ ও পাহাড়ের একাংশ কেটে নিয়ে সেখানে প্রায় দুইমাস ধরে ভবন নির্মাণ করলেও সংশ্লিষ্টরা নীরব ভূমিকা পালন করছেন। শুধু তাই নয়, পাহাড় কেটে রাস্তায় মাটি ফেলার কারণে এলাকার মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বৃষ্টির সময় রাস্তায় ফেলা মাটি কাদায় একাকার হয়ে যাওয়ায় মোটরসাইকেল, ঠেলাগাড়ি, ইজি বাইক, সিএনজি অটোরিকশাসহ কোন যানবাহনই চলাচল করতে পারে না। যার কারণে ছনখোলা থেকে নয়াপাড়া-পূর্ব মাদলিয়াপাড়া হয়ে এলজিইডি সংযোগ সড়কটিই এক প্রকার বন্ধ হয়ে গেছে।

পাহাড় না কাটতে এলাকাবাসী নিষেধ করলেও তারা কাউকে তোয়াক্কা করে না। এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, বনের গাছ ও পাহাড় কাটার সময় এলাকাবাসী নিষেধ করেছিল। এরপর ঘটনাটি স্থানীয় বন কর্মকর্তাকে জানানো হয়। কিন্তু বন বিভাগের লোকজন কয়েক দফা ঘটনাস্থলে গিয়েও নীরব থাকেন। যার কারণে বনভূমিতে গাছ ও পাহাড় কেটেই একতলা পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণ করে ফেলেছেন আবু বক্করের পুত্র ওসমান। এখনও ওই বাড়ির নির্মাণ কাজ চলছে পুরোদমে। উসমানের পাশে একইভাবে পাহাড় ও গাছ কেটে বাড়ি নির্মাণ করছেন আবদুস শুক্কুর। সেখানেও বন বিভাগের লোকজন গিয়ে ফিরে এসেছেন।

গাছ ও পাহাড় কেটে পাকা বাড়ি নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসমান বলেন, ‘নতুন ও পুরাতন বিট অফিসার বেশ কয়েক দফা এসেছিলেন। বন বিভাগের সাথে সমঝোতা করেই বাড়ি নির্মাণ করছি।’ তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে দীঘিরঘোনা বিট কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, ‘বনভূমি দখল করে গাছ ও পাহাড় কেটে দালান নির্মাণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া ওইসব অবৈধ নির্মাণাধীন ভবনটি উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পিএমখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ অপরদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নুরুল আমিন বলেন, ‘পিএমখালীর ছনখোলায় পাহাড় কাটায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান চালানো হবে।