রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট ◑ রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

এ সিদ্ধান্তকে শুধু স্থানীয়রা নয়, রোহিঙ্গারাও সাধুবাদ জানিয়েছে। আর এর ফলে সন্ত্রাস, জঙ্গি ঝুঁকি কমার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ার প্রবণতাও কমবে বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ। এখানে ছোট বড় পাহাড়ের ১০ হাজার একর জায়গায় বসবাস করছে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। যাদের মধ্যে অনেকেই নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। খুন থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নেই যা তারা করছে না।

যে কারণে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাটাতাঁরের বেড়া নিমার্ণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যার প্রেক্ষিতে ক্যাম্প তৈরির কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে পিলার বসানোর কাজ।

রোহিঙ্গারা বলছে, কাটাতাঁরের বেড়া নির্মাণে নিরাপদ হবে ক্যাম্প। তারা বলেন, আমাদের জন্য খুব ভালো হচ্ছে। খারাপ মানুষ আর যাওয়া আসা করতে পারবে না এখন।

দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় দারুণ খুশি স্থানীয়রা। তারা বলেন, আমাদের অনেক দিনের দাবী পূরণ হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য ভালো ও নিরাপদ।

রোহিঙ্গা শিবিরগুলোকে কাঁটাতারের আওতায় এনে দ্রুত প্রত্যাবাসনে কাজ শুরু করা প্রয়োজন বলে জানালেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও সংগ্রাম পরিষদের এ নেতা মাহামুদুল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, কাঁটাতারের ফলে তাদের অনেক অবৈধ কাজ রোধ করা যাবে। একই সাথে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থাও করতে হবে।

আর কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানালেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প কাঁটাতারের আওতায় আসলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ অনেকটা সহজ হবে। তার বক্তব্য, কাঁটাতারের প্রভাবে তারা মুক্তভাবে চলাচল করতে পারবে না। যা সবার জন্যই ভালো।

গেল দু’বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন হয়েছে চল্লিশের মতো। আর মামলা হয়েছে চার শতাধিক।