বিডি প্রতিদিন ◑মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা অনির্ধারিত ত্রাণ সামগ্রী পাওয়ার কারণে তারা এখন স্বচ্ছল হয়ে উঠেছে। ফলে তাদের আচার-আচরণ, চাল-চলন পাল্টে গেছে। এতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নৈরাজ্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গত তিন দিনের ব্যবধানে ৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল রবিবার রাতে চায়ের দোকানে কথা কাটাকাটি জের ধরে উখিয়ার কুতুপালংয়ের সি ব্লকের বাসিন্দা নুর আলমের ছেলে আব্দুল্লাহকে (১৮) ছুরিকাঘাতে নিমর্মভাবে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্যাম্প পুলিশ মো: নুর নামে এ যুবককে আটক করেছে।
এর আগের দিন শনিবার রাত সারে ৮টার দিকে সর্ব-সাধারনের চলাচলের রাস্তায় গরু বাঁধাকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে প্রতিপক্ষ রেজাউল করিম ও অলি উল্লাহ এলাপাথারি ছুরিকাঘাত করলে তুলাতলি গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে এনামূল হক নিহত হন।
এ ঘটনায় পুলিশ রেজাউল করিম ও অলি উল্লাহকে গ্রেফতার করছে।
এছাড়া গত শুক্রবার রাতে মধুর ছড়া ক্যাম্পে দুর্বৃত্তরা সি ব্লকের একটি বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে ছুরিকাঘাতে আশরাফ মিয়া (১২) নামে এক রোহিঙ্গা শিশু নিহত হয়।
এদিকে এ মাসেই তিন দিনের ব্যবধানে ৩ খুনের ঘটনা নিয়ে এলাকায় বিশেষ করে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা।
স্থানীয়দের দাবি রোহিঙ্গাদের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি উদ্বেগ উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিটির আহ্বায়ক ও উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ায় রোহিঙ্গারা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের আয়ের পথ বন্ধ করা না হলে তাদের কাছে স্থানীয়রা এক সময় জিম্মি হয়ে পড়বে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-