টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী নিহত: সাড়ে ৩ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑


টেকনাফ সীমান্তে বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে ফের এক মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র,গুলি ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা। উক্ত ঘটনায় বিজিবির ২ সদস্যও আহত হয়েছে।

তথ্য সূত্রে জানা যায়,১০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) গভীর রাতে ইয়াবা পাচারের অন্যতম ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়ন জাদীমোড়া-নয়াপাড়া সীমান্তে আবারও মাদক বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।

বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদে বিজিবি জানতে পারে মিয়ানমার লালদ্বীপ সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করবে। সেই তথ্য অনুযায়ী (মঙ্গলবার) গভীর ২টারদিকে টেকনাফ ২বিজিবি দমদমিয়া বিওপির দায়িত্বরত একটি টহলদল দক্ষিণ জাদিমোরা নাফনদী সীমান্তে অবস্থান করে। কিছুক্ষণ পর বিজিবি সদস্যরা দেখতে পায় মিয়ানমার থেকে আসা কাঠের নৌকা থেকে একটি লোক কিছু নিয়ে ফেরার সময় বিজিবি তাদেরর চ্যালেঞ্জ করলে মাদক পাচার কাজে জড়িত অপরাধীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে বিজিবির ২ সদস্য আহত হলে বিজিবিও আত্নরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১লক্ষ, ২০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ২রাউন্ড তাঁজা কার্তুজ ১টি কিরিচ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

এসময় উক্ত স্থান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ১জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এরপর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে কক্সবাজার হাসপাতালে প্রেরন করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। নিহত ব্যক্তি হ্নীলা জাদিমোরার আব্দুস সালামের পুত্র ঈমাম হোসেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি)।

তিনি জানান, মাদক উদ্ধার অভিযানে দু’পক্ষের গোলাগুলি, দুই বিজিবি সদস্য আহত এবং ইয়াবা,বুলেট ও কিরিচসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধারকৃত মাদক কারবারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হয়েছে। এব্যপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করার প্রক্রিয়া চলছে।