রোহিঙ্গা পর্দানশীন নারী জাহিদা বেগম (৩৬) আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনটি রোজা রেখেছেন। রোজাদার এই নারী সকাল-সন্ধ্যা ধরে পবিত্র কোরআন শরিফ তেলাওয়াতসহ তাসবিহ জপছেন।
মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রার্থনা করছেন-যাতে রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত বর্বর নির্যাতনের বিচারসহ তারা (রোহিঙ্গা) নিজ দেশে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে ফিরে যেতে পারেন।
জাহিদা বলেন, মহান আল্লাহকে আমরা ধরে রয়েছি। আল্লাহই আমাদের শেষ ভরসাস্থল। তাই রোজা রেখে, কোরআন তেলাওয়াত সহ তাসবিহ জপের মাধ্যমে আল্লাহকে ই বলছি- হে আল্লাহ তুমি আমাদের কূল-কিনারা দাও।
তিনি বলেন, তাদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া পূরণের মাধ্যমে দেশে ফিরে যাবার আকুতি নিয়ে এক খতম পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করবেন। ইতিমধ্যে কোরআনের অর্ধেক তেলাওয়াত শেষ করেছেন।
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৭ নম্বর শিবিরের বি ব্লকের বাসিন্দা রোহিঙ্গা মোহাম্মদ ওসমানের স্ত্রী জাহিদা বলেন, আমাদের শিবিরের প্রতিটি বস্তির নারীরাই গত তিন দিন ধরে রোজা রেখেছেন। রোজা ধরেছে আমার স্বামী এবং ৫ মেয়ের মধ্যে তিনজনও।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সেনারা তাদের উপর বর্বর নির্যাতন চালানোর বিষয়টি নিয়ে বিদেশের আদালতে মামলা হয়েছে।
এই মামলায় জেতার উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিশেষ প্রার্থনা।
মিয়ানমারের রাখাইনের তুমবুরু গ্রামের বাসিন্দা জাহিদা স্বামীসহ তার ৫ কন্যা ও ২ ছেলে সহ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাফনদ পাড়ি দিয়ে আশ্রয় নেয় উখিয়ার কুতুপালং শিবিরে।
রোহিঙ্গা নারী জাহিদা আজ বলেন, আমরা নিরীহ ক্ষুদ্র জাতি। মিয়ানমার সরকার আমাদের বাপ-দাদার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ভিটাচ্যুত করেছে। কেড়ে নিয়েছে আমাদের নাগরিকত্ব পর্যন্ত। তাই আমরা অবলা মানুষ।
/কালের কণ্ঠ
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-