ডেস্ক রিপোর্ট •
বিয়ের আসরে বরের আসনে বসে আছেন রুবেল হোসেন (২২)। কনে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। তখন বিয়ে পড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে বিয়ের আসরে পুলিশ নিয়ে হাজির হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কনের পোশাকে বরের পাশে বসে পড়েন কনের ভাবি। এ সময় সেখান থেকে পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন কাজি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুরের খানপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিয়ে পড়ানোর অপরাধে কাজি রেহান রেজাকে (৪৭) ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় বর রুবেল হোসেনকে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কাজি রেহান রেজা উপজেলার চেংমারী গ্রামের হুমায়ুন রেজার ছেলে। আর বর রুবেল হোসেন নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের সেকেন্দার আলী ছেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার বলেন, ‘ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের খবরে পেয়ে দ্রুত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিয়ের জন্য নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের খসড়া লেখা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছিল। ওই সময়ই প্রশাসন সেখানে উপস্থিত হওয়ায় বাল্যবিয়ে ঠেকানো গেছে। এদিকে প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কাজি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। আর কনে সেজে মেয়ের ভাবি বরের পাশে বসে পড়েছিলেন। এ ঘটনায় বরকে অর্থদণ্ড আর কাজিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-