কুতুবদিয়া প্রতিনিধি •
কুতুবদিয়ায় কিশোর প্রেমের জেরে এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) উপজেলার কৈয়ারবিল ঘিলাছড়ি মিয়াজির পাড়ায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকাল ১১টার দিকে ওই গ্রামের মো: ইসকান্দর এর একমাত্র মেয়ে কুতুবদিয়া মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজের সদস্য অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষার্থী নাঈমা খানম(১৫) ঘরের বিমের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। মা কামরুন্নেছা দেখে সবাইকে খবর দিয়ে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
ছাত্রীর চাচি জোসনা জানান, প্রায় ৪ বছর ধরে স্থানীয় নজর আলী মাতবর পাড়ার মনছুর আলমের ছেলে নিশাত(২০) নাঈমাকে উত্ত্যাক্ত করে আসছিল। বিভিন্ন সময় তার পরিবারকে এ ব্যাপারে বিচারও দেয়া হয়। গত কয়েকমাস ধরে তাদের মাঝে সম্পর্ক হতে থাকে।
গত ২৫ নভেম্বও গভীর রাতে ছাত্রীকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় নিশাত। জানাজানি হলে পরিদিন তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি ২৬ নভেম্বর শালিশী বৈঠকে উভয় পক্ষের মাঝে বিয়ের শর্তে সমঝোতা করে দেন। মাস না পেরুতেই পারিবারিক চাপে নিশাত সটকে পড়ার মানষে শনিবার নাঈমাকে মোবাইলে কড়া ভাষায় বেশ কিছু মেসেজ দেয়-তাকে ভুলে যেতে। এটি সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় নাঈমা।
কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মো: আজমগীর জানান, স্কুল ছাত্রির বয়স কম থাকায় দু‘বছর পর মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি নেয়ার শর্তে উভয়পক্ষের মাঝে সমঝোতা করে দিয়েছিলেন।
হাসপাতালে লাশের সুরতহাল নিতে আসা থানার এস.আই রুবেল জানান, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিশাত আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নৈশ প্রহরী হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-