পিএমখালীতে ডাম্পার ভর্তি কাঠ জব্দ

আবু সায়েম, কক্সবাজার :

পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ এর সহযোগিতায় পিএমখালীতে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন পিএমখালী রেঞ্জের অভিযানে ডাম্পার ভর্তি কাঠ জব্দ করা হয়েছে।

৬ ডিসেম্বর ( বুধবার) পিএমখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বাবুলের নেতৃত্বে এবং অন্যান্য স্টাফদের সহযোগিতায় তেতিয়া বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের রাস্তায় অভিযান চালিয়ে ডাম্পার ভর্তি কাঠ আটক করা হয়। ঘটনাস্থলে আসামি আটক করার চেষ্টা করা হলে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আসামিদের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে আসামিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। একই সাথে ডাম্পার গাড়ির ড্রাইভার কাঠ আনলোড করে পালিয়ে যায়।

পিএমখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বাবুল বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। স্টাফ ও শ্রমিকদের সহযোগিতায় গাছ লোড করলে ২০/ ২৫ জন কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেট আমাদের উপর হামলা চালায়। হামলার নেতৃত্বে ছিলেন খুরুশকুল ইউনিয়নের তেতিয়ার রবিউল্লাহ রবি, একই ইউনিয়ন ও এলাকার মোঃ শফির পুত্র সাইফুল।

তিনি আরো বলেন,রবি ও সাইফুলের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেট হামলা চালালে আমরা নিরাপদ দুরত্বে সরে যায়।পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ এ বিষয়টি অবগত করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে টহল দলের এসআই আব্দুস সাত্তারের সহযোগিতায় ৬০ পিস আকাশ মণি গোল কাঠ জব্দ করে পিএমখালী রেঞ্জ হেফাজতে নিয়ে আসি। আসামিদের চিহ্নিত করে বন আইনে মামলা দায়ের করা হবে।

এদিকে কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বন কর্মকর্তাদের মেরে ফেলার হুমকিধামকির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বন আইনে মামলা দায়ের করলে নাকি তাদের উপর হামলা করবে এমন আশংকা করছেন পিএমখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বাবুল।

এ ব্যাপারে তিনি পুলিশ প্রশাসনের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, বন ও বনজ সম্পদ রক্ষায় সজাগ ও সতর্ক রয়েছি। বনের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ, কাঠ পাচার ও জবরদখলের কোন সুযোগ নেই, যতো বড় প্রভাশালী হোক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বন ও বনজ সম্পদ রক্ষায় তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি